শেয়ার বাজারের ধসের ফলে চিন্তায় বিনিয়োগকারীরা। ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক।
ধস অব্যাহত ভারতের শেয়ার বাজারে। মঙ্গলবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ১২৭৫.১৬ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স দাঁড়ায় ৩৩,৪৮২ পয়েন্টে। পতন দেখা গিয়েছে নিফটি-তেও। দিনের শুরুতেই নিফটি দাঁড়ায় ১০,৩০০ পয়েন্টে। এতটাই ধাক্কা খেয়েছে বাজার যে, বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে অবশ্য সামান্য উন্নতি হয়েছে পরিস্থিতির।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন শেয়ার বাজারে ধসের প্রভাবেই ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারের এই হাল। ভারতের পাশাপাশি জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ার বাজারও ধসের মুখে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শেয়ারের থেকে ক্রমশ তেজি হচ্ছে বন্ডের বাজার। বন্ড থেকে আয় (ইল্ড) বেড়ে যাওয়াই এর প্রধান কারণ বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এই কারণে লগ্নিকারীরা বন্ডের বাজারে ভিড় করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
সম্প্রতি আমেরিকায় কর্মসংস্থান বেড়েছে। যা তাদের আর্থিক উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে দেশের শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বড়ানোর সিদ্ধান্ত কিছুটা আগেই নিতে পারে। তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই আশঙ্কাতেই লগ্নিকারীরা বন্ডের দিকে ঝুঁকেছেন।
আরও পড়ুন: বাজেট পরবর্তী শেয়ারের অবস্থা কেমন?
ভারতের শেয়ার বাজারে অবশ্য মঙ্গলবার দিনের শেষে কিছুটা উন্নতি হয়েছে সূচকের। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স থেমেছে আগের দিনের তুলনায় ৫৬১ পয়েন্ট নীচে। বাজার খোলার সময় সেনসেক্স আগের দিনের তুলনায় ১২৭৫.১৬ পয়েন্ট নীচে ছিল। সেই প্রেক্ষিত থেকে দেখলে দিনের শেষে সূচকের ৩৪১৯৫ পয়েন্টে উঠে আসা কিছুটা স্বস্তিদায়ক। নিফটির ক্ষেত্রেও ছবিটা একই রকম। দিনের শুরুতে ১০,৩০০ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক। দিনের শেষে তা ফের ১০৪৯৮ পয়েন্টে উঠে আসে।
শেয়ার বাজারে এই ধসের জেরে প্রায় ২০০টি সংস্থার শেয়ার বিপুল পতনের সম্মুখীন হয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে এটাই সর্বাধিক পতন। তবে বেশ কয়েকটি ব্লু চিপ সংস্থা এ দিন লাভও করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy