যে সব শর্তের উপরে সাধারণত শেয়ার বাজারের ওঠানামা নির্ভর করে, সেগুলি যে এখন তেমন কাজ করছে না, তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। কেন্দ্রের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বন্দ্বের উত্তাপ কমা, ডলারের নিরিখে টাকার উত্থান, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমা— শর্ত অনুকূল থাকা সত্ত্বেও এ দিন পড়ল শেয়ার সূচক। সোমবারের তুলনায় সেনসেক্স ৩০০.৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়াল ৩৫,৪৭৪.৫১ অঙ্কে। অন্য দিকে ১০৭.২০ পয়েন্ট পড়ে নিফ্টি থিতু হল ১০,৬৫৬.২০ অঙ্কে।
উল্লেখ্য, এ দিন বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম ২১ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৭১.৪৬ টাকা। এই নিয়ে টানা ছ’দিন টাকার দাম বাড়ল। এই ক’দিনে টাকার সাপেক্ষে ডলার কমেছে ১৪৩ পয়সা।
বাজার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, শেয়ার বাজারে স্থিতিশীলতার কোনও লক্ষণই এখন দেখা যাচ্ছে না। বস্তুত, এ দিন বাজার পড়েছে মুনাফা তুলে নেওয়ার জন্য লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রির হিড়িকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘অনিশ্চিত বাজারে এটাই স্বাভাবিক। এ সময়ে লগ্নিকারীরা বেশি দিন হাতে শেয়ার ধরে রাখার সাহস পাচ্ছেন না। বাজার একটু উপরের দিকে উঠলেই মুনাফা ঘরে তুলছেন তাঁরা।’’
তবে টাকার দাম বাড়ার ফলে মুখ ভার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের। কারণ, ওই সব সংস্থা ডলারে আয় করে তা দেশে নিয়ে আসে। এখানে ডলার ভাঙিয়ে টাকায় পরিণত করে। তাই টাকার দাম বাড়লে তাদের আয় কমে। এ কারণেই এ দিন ইনফোসিস, টিসিএস, উইপ্রো-সহ বেশ কিছু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার শেয়ারের দাম পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy