লগ্নিকারীদের ওঠানামাই রক্তচাপ বাড়াচ্ছে সেনসেক্স।
গত সপ্তাহে অনিশ্চিত শেয়ার বাজার পেন্ডুলামের মতো নাগাড়ে দুলেছে। বুধবার সেনসেক্স ৪৬১ পয়েন্ট বেড়েছিল। পরের দিনই পড়ে প্রায় ৭৬০ অঙ্ক। শুক্রবার ফের পাড়ি দেয় ৭৩২। আর এমন ওঠানামাই রক্তচাপ বাড়াচ্ছে লগ্নিকারীদের। বিশেষত ক’দিন আগে ৩৮ হাজারে থাকা বাজার যেখানে এখন ৩৪,৭৩৪ অঙ্কে।
যদিও এই ঝাঁকুনির উৎস মূলত বিশ্ব বাজার। সেখানে রয়েছে অশোধিত তেলের দাম বাড়া, ডলারের দৌড়, মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধের মতো নানা বিষয়। তবে তেল-ডলারের ধাক্কায় যে ভাবে দেশে পেট্রল-ডিজেলের দর চড়ছে, তাতে বাড়ছে আশঙ্কা। প্রধানত চলতি খাতে ঘাটতি, রাজকোষ ঘাটতি ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে। সেপ্টেম্বরের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ইতমধ্যেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৭৭%। তিন মাসে সর্বনিম্ন অগস্টের শিল্প বৃদ্ধিও। এই অবস্থায় বাজারের নজর সংস্থাগুলির দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক তথা ষাণ্মাসিক আর্থিক ফলে। কারণ, ফলে ভালর পাল্লা ভারী হলে শক্তি পাবে বাজার। সবে তা বেরোচ্ছে। শুরুতেই প্রত্যাশা বাড়িয়েছে দুই বড় সংস্থার নজরকাড়া মুনাফা।
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএসের আয় ৬,৩১৩ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৬,৮৫৪ কোটি। লাভ ২২.৬% বেড়ে ছুঁয়েছে ৭,৯০১ কোটি। শেয়ারে ৪ টাকা অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড দেবে সংস্থা। ভোগ্যপণ্য বহুজাতিক হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের মোট আয় বেড়েছে ১,০০০ কোটির বেশি। পৌঁছেছে ৯,৫৩৯ কোটি টাকায়। নিট লাভ বেড়ে হয়েছে ১,৫২৫ কোটি। তাদের অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড শেয়ারে ৯ টাকা।
তবে বাজার ও অর্থনীতির মঙ্গলের জন্য অশোধিত তেলের দাম কমা ও বিদেশি লগ্নির দেশ ছাড়াও বন্ধ হওয়া জরুরি। এই অর্থবর্ষের শুরুতে ফান্ডের তহবিল যেমন বেড়েছিল, ইতিমধ্যেই তাতে কিছুটা ভাটা। এমন চললে তাদের মাধ্যমে ইকুইটিতে লগ্নিও শুকিয়ে আসতে পারে।
(মতামত ব্যক্তিগত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy