এক দিকে টাকার দামের পতন, অন্য দিকে পেট্রল-ডিজেলের জেটগতিতে মূল্যবৃদ্ধি—দুইয়ের গুঁতোয় চাপে পড়েছে শেয়ার বাজার। বাজার কখনও ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। এ দিন শেয়ার বাজার খুলতেই সেনসেক্স ৫০৫ পয়েন্ট নেমে দাঁড়ায় ৩৭,৫৮৫-তে। নিফটি ১৩৭ পয়েন্ট নেমে দাঁড়ায় ১১,৩৭৭-এ। এই ধসের ফলে বিনিয়োগকারীদের এক লক্ষ কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেল নিমেষেই।
অন্য দিকে, টাকার দামে পতন অব্যাহত। সোমবার বাজার খুলতেই ৮১ পয়সা পড়ে গিয়ে মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম দাঁড়ায় ৭২.৬৫। গত ১০ সেপ্টেম্বর রেকর্ড পতন হয়েছিল টাকার। সে দিন টাকার দাম দাঁড়িয়েছিল ৭২.৬৭। তার পর থেকে আর ঘুরে দাঁড়ায়নি পরস্থিতি। আর এই পরিস্থিতিই ভারতের অর্থনীতি ও বাণিজ্যক্ষেত্রে উত্তরোত্তর উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
কিন্তু টাকার দাম বৃদ্ধির কি কোনও সম্ভবনা আছে? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এখনই তেমন আশা দেখছেন না। এই পরিস্থিতি রুখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিল। আশা করা হয়েছিল এতে কিছুটা হলেও রেহাই মিলতে পারে। কিন্তু সেই পদক্ষেপ সকলকে আশাহতই করেছে।পরিস্থিতির কোনও উন্নতিই হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব বাণিজ্যে চিন-আমেরিকার সরাসরি টক্কর এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: তেলের দর নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ চিদম্বরমের
পেট্রল-ডিজেলের ঊর্ধ্বমুখী দামকে বাগে রাখতে নানা রকম দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। টাকার পতনকে রুখতেও নানা কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। তেলের আঁচে আম-আদমি পুড়ছে। সেই সঙ্গে অস্বস্তি বাড়ছে কেন্দ্রেরও।
কবে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে এখন সে দিকে তাকিয়েই ভারতের বাজার।
আরও পড়ুন: মাথাব্যথা বাজারের স্বাস্থ্য, চোখ থাকুক হাতে থাকা শেয়ারে
(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy