প্রতীকী ছবি।
আইনি জটিলতা কেটেছিল আগেই। এ বার প্রশাসনিক জট কাটিয়ে মার্চের শেষে ঝাড়খণ্ডের পাচোয়াড়া (উত্তর) খনি থেকে কয়লা তোলার কাজ শুরু করতে পারবে বলে মনে করছে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ দফতর।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান শান্তনু বসু-সহ কয়েক জন কর্তা ঝাড়খণ্ডে গিয়ে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লির সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। যেটুকু জট রয়েছে, তা মার্চে কেটে যাবে বলে তাঁদের ধারণা। সে ক্ষেত্রে পাচোয়াড়া থেকে কয়লা তোলা এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মন্ত্রীর দাবি।
২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কয়লা খনি বণ্টন বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে পাচোয়াড়া (উত্তর)-সহ অন্যান্য খনিগুলি নিগম ফিরে পায়।
কিন্তু এখনও কোনও খনি থেকে কয়লা তোলা শুরু করা যায়নি। ফলে গত কয়েক বছর ধরে কোল ইন্ডিয়ার কয়লার উপরেই নির্ভর করে নিগমের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি চালাতে হচ্ছে। এর জেরে মাঝেমধ্যেই কয়লা ঘাটতির কারণে উৎপাদন মার খাচ্ছে। ঘাটতি কমাতে বাজার থেকে চড়া দামে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে বণ্টন সংস্থাকে।
বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘‘জানুয়ারিতে বড়জোড় খনি থেকে কয়লা তোলা শুরু হয়েছে। বড়জোড় (উত্তর) খনিটি শীঘ্রই চালু করতে পারব বলে আশা। কিন্তু পাচোয়াড়া দ্রুত চালু করাই এখন পাখির চোখ।’’ তাঁর মতে, গ্রীষ্মের চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি কোল ইন্ডিয়ার উপর নির্ভর করা যাবে না। পাচোয়াড়া (উত্তর) খনিতে প্রায় ৫০ কোটি টন কয়লা আছে। বছরে দেড় কোটি টন করে কয়লা তুলতে পারলে রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে অন্তত ২৫ বছরের জন্য ঘাটতি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। নিগমের অন্য খনিগুলি বেশ পুরনো। মজুত কয়লাও অনেক কমে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy