কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির দু’টি নতুন খাদ্য পরীক্ষা কেন্দ্র গড়তে চায় রাজ্য। একটি উত্তরবঙ্গের জন্য শিলিগুড়িতে। অন্যটি কলকাতা বা আসানসোলে। রফতানির জন্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করাই যার প্রধান লক্ষ্য।
ট্রেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর এক্সপোর্ট স্কিমের আওতায় কেন্দ্রগুলি তৈরির প্রস্তাব ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। রফতানি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো তৈরি ও সংস্কারের জন্য গত বছরই প্রকল্পটি চালু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রক। তারা প্রস্তাবে সায় দিলে এগুলি গড়তে কেন্দ্রের থেকে ৫০% আর্থিক অনুদান মিলবে। বাকি খরচ রাজ্যের। শিল্পের মতে, এই ধরনের পরীক্ষা কেন্দ্র গড়তে খরচ হয় প্রায় ৩ কোটি টাকা।
এই মুহূর্তে রাজ্যের নিজস্ব একটি খাদ্য পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া, বাম আমলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’টি কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। কিন্তু লোকবলের অভাব-সহ নানা সমস্যায় সেগুলিতে এখন পরীক্ষা হয় না। ফলে রাজ্যের নিজস্ব পরীক্ষা কেন্দ্রটিতে সারা বছর এত চাপ থাকে যে, বাইরের কাজ তারা বেশি নিতে পারে না। সম্প্রতি খড়্গপুর আইআইটি-ও একটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করেছে। কিন্তু রফতানিকারী সংস্থাগুলিকে বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্রের উপরই বেশি ভরসা করতে হয়। অনেক সময় খাদ্যের নমুনা রাজ্যের বাইরেও পাঠাতে হয়। তাই শিল্পের স্বার্থে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর আরও দু’টি কেন্দ্র গড়তে চাইছে। সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই সেগুলি তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।
এক ঝলকে
• কেন্দ্রীয় প্রকল্পে খাদ্যপণ্য পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব
• একটি শিলিগুড়িতে, অন্যটি কলকাতা বা আসানসোলে চায় রাজ্য সরকার
• লক্ষ্য, মূলত রফতানি শিল্প
• সায় মিললে ৫০% অনুদান দেবে কেন্দ্র, বাকি খরচ রাজ্যের
• প্রকল্প তৈরি হবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় প্রকল্পটিতে রফতানি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নতুন পরিকাঠামো তৈরি ও সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এ ছাড়াও প্রকল্পগুলি যাতে ভাল ভাবে চলে তা নিশ্চিত করতে রয়েছে মন্ত্রকের কমিটি। যারা প্রস্তাবিত প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে। সেই সুযোগটাই এ বার রাজ্য নিতে চাইছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy