Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

এগিয়েছে ভারত, জানাল সমীক্ষা

তালিকার শীর্ষে আমেরিকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর ও জার্মানি। আর পড়শি চিন দাঁড়িয়ে ২৮-এ। নম্বর ৭২.৬।

নয়াদিল্লি
সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৪৪
Share: Save:

তেল ও ডলারের বাড়তে থাকা দামে নাস্তানাবুদ সরকারকে সামান্য হলেও স্বস্তি দিল ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স। যে সূচকের কাজ সারা বিশ্বে কোন দেশের অর্থনীতিতে বাজার দখলের তুল্যমূল্য প্রতিযোগিতা কতটা, তা নির্ধারণ করা। সেই সূচকের আওতাতেই এ বছর ভারতের জায়গা ২০১৭ সালের তুলনায় এগিয়ে গেল পাঁচ ধাপ। দাঁড়াল ৫৮-তে। ঝুলিতে আসা নম্বর ৬২। উল্লেখ্য, দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতির বৃদ্ধির নির্ধারক এই প্রতিযোগিতা সূচক।

তালিকার শীর্ষে আমেরিকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর ও জার্মানি। আর পড়শি চিন দাঁড়িয়ে ২৮-এ। নম্বর ৭২.৬।

মোট ১৪০টি দেশের অর্থনীতিকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালায় ডব্লিউইএফ। তারা জানিয়েছে, বাজার দখলে তুল্যমূল্য প্রতিযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে জি২০ গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে ভারতের মতো এক লাফে এতখানি এগোতে পারেনি আর কেউই। যেখানে তাদের মূল হাতিয়ার হয়েছে বিশাল বাজার ও উদ্ভাবন।

শুধু তাই নয়, রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি ভারতই। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা— এই তিনটি বাদে বাকি সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার নিরিখে এই অঞ্চলে এ দেশ সকলের আগে। দক্ষ পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়তে পারার শর্তেও ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে ঢেলে নম্বর দিয়েছে ডব্লিউইএফ। বিশেষ করে ভারতে পরিবহণ পরিকাঠামো ও পরিষেবায় প্রভূত লগ্নি হওয়ার সুবাদে।

তবে কাঁটাও আছে কিছু। ডব্লিউইএফের দাবি, শ্রম বাজার (বিশেষত শ্রমিকদের অধিকার), পণ্য বাজার (বিশেষত বাণিজ্য শুল্ক) ও দক্ষতা (বিশেষত পড়ুয়া ও শিক্ষকের অনুপাত), মূলত এই তিন ক্ষেত্রে ভারতের উন্নতি জরুরি। কারণ বাজার দখলের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার পরিবেশ বহাল রাখার জন্য এগুলির ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE