নিশানায়: তোপের মুখে পীযূষ গয়াল। ছবি: পিটিআই।
চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না। সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রাখা টাকার হিসেব নিয়ে ফের আক্রমণের মুখে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দাবি ছিল, মোদী জমানায় সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের টাকা রাখা কমেছে। কিন্তু তাকে নস্যাৎ করে বুধবার বিরোধীদের অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি বন্ধুদের বাঁচাতে আসলে তথ্য চাপা দিচ্ছে মোদী সরকার। জানুয়ারি-মার্চে ওই জমা ২,৮৮৯ কোটি টাকা ছিল। এপ্রিল-জুনে তা হয়েছে ৩,৫৪৩ কোটি টাকা। বেড়েছে ২৩%। কংগ্রেসের অভিযোগ, অর্থমন্ত্রী জেনেশুনে তথ্য লুকিয়েছেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র রাজীব গৌড়ার অভিযোগ ছিল, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকা বেড়েছে ৫০%। মঙ্গলবার তা ৩৪.৫% কমার হিসেব দেন গয়াল। এ দিন সেই দাবিকে তুলোধোনা করেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, মোদী সরকার সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বদলে ব্যাঙ্ক অব ইন্টারন্যাশনাল সেট্লমেন্টসের (বিআইএস) তথ্য দিচ্ছে। অথচ সরাসরি সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা না রেখে কেউ যদি ফান্ড, বন্ড, ডিবেঞ্চারে অর্থ রাখেন, তা হিসেবে আসবে না। এমনকি বিআইএসের হিসেবেও, জমা জানুয়ারি-মার্চের থেকে এপ্রিল-জুনে ২৩% বেড়েছে।
চাপানউতোর
• প্রথমে সুইস সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে খবর, ২০১৬-র তুলনায় ২০১৭ সালে সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকা বেড়েছে প্রায় ৫০%। একে হাতিয়ার করেই আক্রমণে বিরোধীরা।
• মঙ্গলবার সংসদে পাল্টা গয়ালের। দাবি, ওই এক বছরে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা কমেছে ৩৪.৫%। ২০১৩ সালের সাপেক্ষে ৮০%।
• ফের সরব বিরোধীরা। গয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর তথ্য ব্যাঙ্ক অব ইন্টারন্যাশনাল সেট্লমেন্টসের। সুইস ব্যাঙ্কের নয়। তাই সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা রাখার বদলে কেউ মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে তা রাখলে, তার হিসেব কেন্দ্র ধরেনি। এপ্রিল-জুনে আসলে গচ্ছিত টাকা বেড়েছে ২৩%।
কংগ্রেসের প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিই এতদিন সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়েছেন। এখন বিআইএসের তথ্য কেন? যেখানে বিআইএস নির্ভুল তথ্যের নিশ্চয়তা দেয় না।
সমাজবাদী পার্টির নেতা নীরজ শেখর বলেন, কালো টাকা ফিরল কই? সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বিজেপি কালো টাকা ফেরানোর কথা বলত। এখন বলছে, বিদেশে জমা টাকা মানেই কালো নয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy