রফতানি বাজারে ভারতীয় চায়ের কদর কম নয়। আবার কম নয় প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও। সেই প্রতিযোগিতার মুখে এগিয়ে থাকতে দেশের সব ধরনের চাকেই পেরোতে হয় ফুড সেফটি অ্যান্ড স্টান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) ন্যূনতম মাপকাঠি। এই কথা মাথায় রেখেই ভারতের রফতানিযোগ্য চায়ের মান পরীক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছে টি বোর্ড। এ জন্য প্রায় তিন বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘টি কাউন্সিল’ (চা পরিষদ) ফের চালু করছে তারা।
চায়ের মান বাড়াতে সাম্প্রতিককালে শিল্প মহলকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে টি বোর্ড। আবার নিয়ম অনুযায়ী এফএসএসএআই-এর বিভিন্ন মাপকাঠি খতিয়ে দেখতে বাগানগুলিকে বছরে দু’বার তাদের চায়ের নমুনা বাধ্যতামূলক ভাবে পরীক্ষা করাতে হয়। তা হলে ফের পরীক্ষার প্রয়োজন কী?
বোর্ডের দাবি, রফতানি বাজারে ভারতীয় চায়ের মান বজায় রাখতে এটি বাড়তি উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার নবীন প্রজন্মের চা ব্যবসা নিয়ে এক আলোচনা সভার ফাঁকে বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায় জানান, পর্ষদ এবং শিল্প মহলের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ প্রতিনিধিরা এই পরিষদে থাকবেন। রফতানিযোগ্য চায়ের নমুনা যখন তখন পরীক্ষা করে দেখা হবে যে তা গুণমানের শর্ত পূরণ করছে কি না।
এই পরীক্ষার খরচ বইবে বোর্ড। এ জন্য আলাদা ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে তারা। কিন্তু পরীক্ষায় নমুনা ব্যর্থ হলে খরচ চাপবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপর। প্রয়োজনে বোর্ড তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। কারণ, পরিষদের ভূমিকা পরামর্শদাতার।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা। তাঁর মতে, এর ফলে চায়ের মান আরও বাড়লে ভারতীয় চা রফতানি বৃদ্ধি সহজ হবে। তবে তাঁর দাবি, আমদানি হওয়া চায়ের উপরেও একই রকম নজরদারি রাখুক পরিষদ। কারণ, আমদানি হওয়া চায়ের অধিকাংশই ভারতীয় চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে ফের রফতানি হয়। তাই খারাপ চা আমদানি হলে রফতানিতেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অন্য দিকে, দেশের চা উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক এখন জোগান দেন ক্ষুদ্র চা চাষীরা। সেই চায়ের মান বাড়াতে উপদেষ্টা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ‘ট্রিনিটি’ কর্মসূচি নিয়েছে আইটিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy