বিজয় মাল্য থেকে নীরব মোদী, ভারতে জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্তরা বারবারই গা ঢাকা দিচ্ছেন বিদেশে। কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের পরেও আদালতের সমন অগ্রাহ্য করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন। অথচ তাঁদের ধার দিয়ে ভুগছে দেশের ব্যাঙ্কগুলি। এই পরিস্থিতি আটকানোর যুক্তি দেখিয়েই সোমবার লোকসভায় নতুন এক বিল পেশ করল সরকার। যেখানে বলা হয়েছে বিদেশে ফেরার ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ খেলাপির বকেয়া আদায় করতে তাঁর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাকে আইনি সিলমোহর দেওয়ার কথা। যার নাম ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডারস বিল ২০১৮।
এ দিন বিলটি লোকসভায় পেশ করেন শিবপ্রতাপ শুক্ল। সরকারের দাবি, ওই ঋণ খেলাপিরা ভারতীয় আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে জেনেই এর আওতার বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার কৌশল নেন।
বিলটির অবশ্য বিরোধিতা করেছেন বিজু জনতা দলের ভরত্রুহরি মাহতাব। তাঁর যুক্তি প্রথমত, এতে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কথা বলা হয়েছে অপরাধ প্রমাণের আগেই। যা মৌলিক অধিকারের বিরোধী। দ্বিতীয়ত, ভারতে আইন বলে, দোষ প্রমাণিত না হওয়ার মানে, অভিযুক্ত নির্দোষ। কিন্তু এতে বেকসুর ব্যক্তিও দোষী সাব্যস্ত হবেন। তৃতীয়ত, বিদেশি মুদ্রা পরিচালন আইন বা কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইন থাকতেও ফের জালিয়াতির মোকাবিলায় নতুন কেন? আর চতুর্থত, বিলটি প্রয়োগ হবে ১০০ কোটি বা তার উপরে বকেয়া থাকলে। তা হলে কি ৯৯ কোটি বাকি ফেলা অপরাধ নয় বলেই ধরা হবে!
এ দিন পেশ হয়েছে চিট ফান্ডস (সংশোধনী) ২০১৮ বিলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy