এক ধাক্কায় পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার দরজা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বাইকো লরি, ন্যাশনাল জুট ম্যানুফ্যাকচার্স কর্পোরেশন এবং বার্ড জুট অ্যান্ড এক্সপোর্ট—তিন সংস্থারই সদর দফতর কলকাতায়। দীর্ঘ দিন ধরে লোকসানে চলছিল তারা। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, সংস্থাগুলি পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা বৃথা। তাই ঝাঁপ ফেলাই উচিত। বাইকো লরির কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আর অন্য দু’টিতে খাতায়-কলমে কোনও পাকা কর্মী নেই।
বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল জুট ম্যানুফাকচার্স কর্পোরেশনের (এনজেএমসি) পাঁচটি চটকল ছিল পশ্চিমবঙ্গে, একটি বিহারে। সূত্রের খবর, মূলত চটের বস্তাই তৈরি করত তারা। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার ও বেসরকারি চটকলের আধিপত্যের জেরে অনেক ক্ষেত্রে বস্তার চাহিদা কমতে থাকে। লোকসানে ডোবে মিলগুলি। মাঝে টিটাগড়ের কিনিসন মিল, খড়দহ মিল ও কাটিহারের একটি মিল চাঙ্গা করার চেষ্টা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। ১৯৯৩ সালে সংস্থার কয়েকটি মিল বিআইএফআরে চলে যায়। বহু বছর আগেই সব মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয়েছে।
বার্ড জুট পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র অবশ্য দায় ঠেলেছে রাজ্যের ঘাড়ে। বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কারখানার জমির চরিত্র বদলে রাজি হয়নি। সম্পদ বিক্রয় কমিটিতে প্রতিনিধি পাঠাতেও তিন বছর দেরি করে। এখন সংস্থার কারখানা বন্ধ। কর্মীও নেই। তাই নীতি আয়োগ বন্ধের সুপারিশই করেছিল। এই দুই সংস্থার জমি অবশ্য অন্য সরকারি কাজে লাগানো হবে।
অন্য দিকে, বাইকো লরির লোকসান ১৫৩.৯৫ কোটি টাকা। চেষ্টা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রকের অধীন এই সংস্থাটি কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাই। মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা ব্যর্থ। ফলে বন্ধ করতে হচ্ছে এটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy