প্রতীকী চিত্র
রাজ্যে প্রশ্ন চিহ্ন পড়ল নতুন শ্রমবিধি চালুর সম্ভাবনায়।
এই বিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির মত জানার জন্য সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাতে এক যোগে বিধির বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। শ্রম যেহেতু কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত, তাই রাজ্য না-চাইলে তা এখানে চালু হওয়া কঠিন।
বৈঠকের শেষে বেচারামবাবু বলেন, ‘‘সংগঠনগুলিকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে লিখিত ভাবে তাদের মতামত জানাতে বলেছি। তার পরে সেগুলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব। তার পরেই নতুন শ্রমবিধি এবং এ সংক্রান্ত নিয়ম রাজ্যে চালুর বিষযে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ আর ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ, তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার এবং এআইটিইউসি-র সহ-সভাপতি দেবাশিস দত্তের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের শ্রমিক শ্রেণি যে সব অধিকার অর্জন করেছে, নতুন এই বিধি এনে তার সিংহভাগই কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।
অশোকবাবু বলেন, ‘‘শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার রীতি শেষ করতে চায় কেন্দ্র। নতুন শ্রমবিধি তৈরির সময়ে সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনাই করেনি তারা।’’ কামারুজ্জমানের কথায়, ‘‘কেন্দ্র জানত এই বিধি সংসদে পাশ করানোর সময়ে দেশ জুড়ে আন্দোলন হবে। তাই করোনার আবহে যখন রাস্তায় নেমে আন্দোলন সম্ভব ছিল না, তখনই তারা বিধিগুলি সংসদে পাশ করিয়েছে। যে দিন বিরোধীরা সংসদ বয়কট করেছিলেন, সে দিনই তিনটি বিধি পাশ করায় তারা।’’
ঋতব্রতের বক্তব্য, ‘‘শ্রমিকদের দিনে আট ঘণ্টা কাজের অধিকার কাড়ার চক্রান্ত করেছে কেন্দ্র। তা ছাড়া বলা হয়েছে, যে সব সংস্থায় ৩০০ জন পর্যন্ত কর্মী কাজ করেন, সেগুলি বন্ধ করতে রাজ্যের সায় লাগবে না। বিধিগুলি রাজ্যে যাতে চালু না-হয়, তা লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy