Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
বাণিজ্যে মার্কিন হুমকি

জমি ছাড়ার প্রশ্নই নেই বেজিংকে

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্সের স্পষ্ট ঘোষণা, যত দিন চিন তাদের অনৈতিক বাণিজ্য নীতি থেকে সরে না আসে এবং মেধাস্বত্বের (পেটেন্ট) নিয়ম মানার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা না দেখায়, তত দিন এই লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। বেজিংয়ের পাল্টা দাবি, তারাও লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়তে তৈরি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০৭
Share: Save:

বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে সামান্যতম জমি ছাড়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে ফের স্পষ্ট জানিয়ে দিল ওয়াশিংটন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারা স্যান্ডার্সের স্পষ্ট ঘোষণা, যত দিন চিন তাদের অনৈতিক বাণিজ্য নীতি থেকে সরে না আসে এবং মেধাস্বত্বের (পেটেন্ট) নিয়ম মানার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা না দেখায়, তত দিন এই লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। বেজিংয়ের পাল্টা দাবি, তারাও লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়তে তৈরি।

পরিস্থিতি এতটাই রুখো আর উত্তপ্ত যে, এমনকী বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রতি চিনকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বিশ্বের অন্যতম বড় আর্থিক শক্তি হওয়া সত্ত্বেও সেখানে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে চিন? ওয়াশিংটনের তরফে বেজিংয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা জারি মেধাস্বত্বের নিয়মকানুন না মানা নিয়েও। চিনকে কাবু করতে ট্রাম্প প্রশাসন এতটাই একবগ্গা যে, শুক্রবার বাণিজ্য যুদ্ধ আরও ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কায় মার্কিন শেয়ার বাজারের বিপুল পতনকেও এই মুহূর্তে সে ভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ তারা।

ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে ২৫% ও ১০% শুল্ক ট্রাম্প আগেই বসিয়েছিলেন। তার উপর চিনা পণ্যে আবার আলাদা করে চড়া শুল্ক তিনি বসিয়েছিলেন ওই মেধাস্বত্ব চুরির অভিযোগেই। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, অবাধ বাণিজ্যের নিয়মের তোয়াক্কা করে না চিন। চাপ খাটিয়ে ও নিয়ম ভেঙে হাতিয়ে নেয় সে দেশে ব্যবসা করা মার্কিন সংস্থার মেধাস্বত্ব। স্থানীয় সংস্থাকে বাধা দেয় না মেধাস্বত্ব ভেঙে পণ্য তৈরিতে। সঙ্গে রয়েছে উঁচু শুল্ক-প্রাচীরও। এই সমস্ত কারণেই চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি অন্তত ৩৭,০০০ কোটি ডলার। যার মাসুল গুনে ২০ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরিই হয় না মার্কিন মুলুকে। আর এই সব কারণেই এখন কড়া অবস্থান থেকে সরতে রাজি নন ট্রাম্প।

তা ছাড়া তিনি ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, ‘‘এ বার বৈষম্য ঘোচানোর পথে হাঁটবে চিন। বহু বছর তারা একচেটিয়া ভাবে বাণিজ্যে রাজত্ব করেছে। সে দিন শেষ।’’ উল্টো দিকে, চিনের হুঁশিয়ারি, যে কোনও মূল্যে জাতীয় স্বার্থরক্ষার জন্য তারা তৈরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE