প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মুকেশ অম্বানীর কার্যত নিখরচায় ‘জিও ফোন’ আনার ঘোষণায় ফের ধাক্কা খেল অন্য টেলি সংস্থাগুলি। তার উপর শুক্রবার মোবাইল পরিষেবায় ন্যূনতম খরচ বাঁধতে তাদের প্রস্তাব খারিজ করেছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। ছ’টি টেলি সংস্থার বিরুদ্ধে ৬১,০০০ কোটি টাকা আয় কমিয়ে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ক্যাগের রিপোর্টেও। আর এই ত্র্যহস্পর্শে আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হবে পুরনো সংস্থাগুলির।
মুকেশের কথায় স্পষ্ট, এ বার আধা শহর ও গ্রামে টুজি পরিষেবার বাজারও তাঁদের লক্ষ্য। সেখানেও মূল হাতিয়ার কম খরচে ‘ডেটা’। প্রশ্ন উঠছে, এই ধাক্কা কতটা সামলাতে পারবে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি? একই ভাবে জিও-ফোনের মাধ্যমে টিভি পরিষেবাও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, চর্চা শুরু হয়েছে তা নিয়ে।
টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআই-এর ডিজি রাজন এস ম্যাথুজের মতে, জিও-র এই ফোন ও পরিষেবা আকর্ষণীয় হওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। তবে এ নিয়ে মন্তব্য করেনি ভোডাফোন, এয়ারটেলের মতো পুরানো সংস্থাগুলি।
যদিও টেলি শিল্প সূত্রের দাবি, জিও ফোনের মাসুল কম নয়। এখন গ্রামে মাসে এক জন গ্রাহক গড়ে ১০০ টাকারও কম ফোনের পিছনে খরচ করেন। কিন্তু জিও-র ক্ষেত্রে তা হবে মাসে ১৫৩ টাকা। ফলে তিন বছর বাধ্যতামূলক পরিষেবা নিতে ৫,৫০০ টাকারও বেশি লাগবে। এ ছাড়া ‘স্যাশে’-র মাসুল বাজার চলতি হারের চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে বেশি। তাদের সংশয়, কথা বলার খরচ না-থাকলেও, এতটা টাকা সেখানকার সাধারণ মানুষ খরচ করবেন? তেলের থেকে নিয়ে এ ভাবে বিপুল টাকা জিও-তে রিলায়্যান্সই বা ঢালবে কত দিন?
ত্র্যহস্পর্শ
•
রিল জিও-র ঘোষণায় প্রতিযোগিতা আরও
বাড়ার সম্ভাবনা
•
কল ও ডেটার ন্যূনতম খরচ স্থির করা হবে না বলে ট্রাইয়ের ঘোষণা
•
ছ’টি টেলি পরিষেবা সংস্থা ৬১,০০০ কোটি টাকা আয় কমিয়ে দেখিয়েছে বলে ক্যাগের রিপোর্ট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy