বাগডোগরা-কলকাতার মধ্যে চালু হচ্ছে দু’টি রাতের উড়ান।
সকাল সকাল পৌঁছতে চান শিলিগুড়িতে? বা কাজ শেষ করে কলকাতা ফিরবেন, কিন্তু রাত হয়ে গিয়েছে? কুছ পরোয়া নেই। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর থেকেই এই দুই শহরের মধ্যে চলাচল করবে নতুন দু’টি বিমান, একটি সাতসকালে এবং অধিক রাতে। আগামী মাস থেকে বিমানবন্দরের শীতকালীন সময়সূচি চালু হবে। তার আগে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে (এএআই) একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা জানিয়েছে, তারা সকাল ৭টা এবং রাত ন’টায় শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে বিমান দু’টি চালাবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে আগেই চালু হয়েছে ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আইএলএস। এর ফলে কুয়াশার মধ্যে বা রাতের অন্ধকারেও এখন এই বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা করতে পারে। কিন্তু এর পরেও এখানে বিমান চলাচলের মূল সময় সকাল ১১টা তেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত। বিমানবন্দর সূত্রে বলা হয়েছে, এর ফলে দুপুরের দিকে বিমানের ভিড় লেগে থাকে বাগডোগরায়। তাই একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা যখন নতুন দু’টি বিমান এখান থেকে চালাতে চাইল, তখন এএআই তাদের স্পষ্ট করে দেয়, সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ছ’টার মধ্যে সে দু’টি চালানো যাবে না। তার পরেই সংস্থাগুলি সকাল এবং রাতের বিমান নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণি পি বলেন, ‘‘এই বিমান দু’টি চালু হলে কলকাতা থেকে সাতসকালে শিলিগুড়ি আসা যাবে। আবার বেশি রাতে কলকাতা ফেরাও যাবে।’’
বিমানবন্দরের কয়েক জন অফিসার জানান, সামনেই পুজোর মরসুম। তার পরে বড়দিন হয়ে বছরের শেষ পর্যন্ত চলবে সেই পর্ব। এই সময়ে বিপুল পরিমাণ পর্যটক পাহাড় এবং ডুয়ার্সে ঘুরতে আসেন। তাঁদের হিসেব মতো, ২০১৮ সালে বাগডোগরা বিমানবন্দর ২৩ লক্ষ যাত্রী পরিষেবার রেকর্ড ছুঁয়েছে। শুধু কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুই নয়, বাগডোগার থেকে পারো এবং ব্যাংককের বিমানও যাতায়াত করে। এর বেশির ভাগই ওঠানামা করে দুপুরের দিকে। এএআই-এর এক আধিকারিক জানান, এত যাত্রীর যাতায়াত এবং মূলত বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে বেশির ভাগ বিমানের ওঠানামার ফলে বিমানবন্দরের উপরে প্রভূত চাপ পড়ছে। টার্মিনাল ভবনে ঘণ্টায় ৪৫০-৫০০ জন যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। যাত্রী সংখ্যাটা এই সময়ে দেড় থেকে দু’হাজার হয়ে যাচ্ছে। পার্কিং লটেও যানজট তৈরি হয়ে যায়। এ সব বিবেচনা করেই বিমান সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, নতুন উড়ান চালাতে গেলে সাতসকাল বা সন্ধের পরে চালাতে হবে।
যে বেসরকারি সংস্থাটি নতুন উড়ান দু’টি চালাবে, তাদের দাবি, রাতে যাত্রী সংখ্যা সব সময়েই বেশি হয়। সামনে পর্যটন মরসুম থাকায় সকালের উড়ানেও ভিড় হবে। বিমানবন্দরের কয়েক জন অফিসারের আশা, এই বিমান দু’টি ঠিক মতো চলতে শুরু কলে অন্য সংস্থাগুলিও ভোরে এবং রাতে বিমান চালাতে আগ্রহী হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy