ব্যাঙ্কগুলিকে চাঙ্গা করার জন্য বাজেটে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। যার ফলে এ দিন বেশ কিছু ব্যাঙ্কের শেয়ার দরও বেড়ে গিয়েছে।
জেটলির প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে: প্রথমত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মূলধন বাড়াতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ওই অঙ্ক আরও বাড়ানো হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা মোকাবিলার ব্যবস্থা নিয়েছেন জেটলি। এত দিন অনুৎপাদক সম্পদ খাতে আর্থিক সংস্থান করা হলে, তার উপর ৭.৫০ শতাংশ হারে করছাড় পেত ব্যাঙ্কগুলি। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী পাওয়া যাবে ৮.৫০ শতাংশ হারে করছাড়।
তৃতীয়ত, এ বার থেকে কোনও অনুৎপাদক সম্পদ বিক্রি বাবদ অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানি (এআরসি)-র কাছ থেকে পাওয়া রসিদ শেয়ারে বাজারে লেনদেন করার নিয়ম চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানির কাছে অনুৎপাদক সম্পদ বিক্রি করলে অনেক সময়েই বিক্রির টাকার একটা অংশ নগদে মেটানো হয়। বাকি অংশ বাবদ একটি সিকিউরিটি রসিদ পাওয়া যায়। বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ওই রিসিট সেবি-র মাধ্যমে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত করে লেনদেন করা যাবে।
ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেন বলেন, ‘‘সাধারণত সংশ্লিষ্ট অনুৎপাদক সম্পদ এআরসি-কে বিক্রি করার পরই বকেয়া টাকা মোটানো হয় ব্যাঙ্ককে। লেনদেন শুরু হলে কিছু ‘ডিসকাউন্ট’ বা ছাড় দিয়ে বাজারে ওই সিকিউরিটি রিসিট বিক্রি করে নগদ টাকা চটজলদি হাতে পাওয়ার সুযোগ পাবে ব্যাঙ্কগুলি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy