Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মোদীর জাদুতেই ইরানি তেল, প্রচারে ব্যস্ত কেন্দ্র

সোমবার থেকে ইরানের উপরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০৩
Share: Save:

সোমবার থেকে ইরানের উপরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, যে সমস্ত দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখবে তারাও পড়বে নিষেধাজ্ঞার কোপে। যদিও অশোধিত তেল আমদানির ক্ষেত্রে আটটি দেশকে ছাড় দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই তালিকায় রয়েছে ভারতও। এই ঘটনার পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিতে মাঠে নামল সরকার।

ইরান থেকে তেল কেনায় বাধা পড়লে, অশোধিত তেলের আমদানির খরচ আরও বাড়ত। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে পেট্রল-ডিজেল বা রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে আরও বিপাকে পড়তে হত কেন্দ্রকে। সেই সম্ভাবনা কিছুটা কমার আশায় আজ তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর জোরদার যুক্তি ছিল, তেলের ক্রেতা দেশগুলির স্বার্থ কোনও ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। ভৌগোলিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝিয়ে ভারত এই ছাড় পেয়েছে।’’ প্রধানের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে অন্যান্য দেশও সুবিধা পাবে।

ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, তেলমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে কৃতিত্ব দিতে চাইলেও বাস্তব হল, আপাতত ছ’মাসের জন্য ইরান থেকে তেল আমদানিতে ছাড় মিলেছে। দীর্ঘ মেয়াদে কী হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে অন্তত লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত এ ব্যাপারে স্বস্তি মেলায় খুশি বিজেপি। সেই সঙ্গে অতি সম্প্রতি ডলারের নিরিখে টাকার দামেরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমায় গত কয়েক দিন টানা কমে চলেছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। সেগুলিও বাড়তি পাওনা কেন্দ্রের।

তেল আমদানিতে ছাড় মিললেও তেলের দাম মেটাতে সমস্যা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। প্রধান বলেন, ‘‘খুঁটিনাটি বিষয়গুলি আমরা পরে জানতে পারব।’’

অশোধিত তেলের প্রায় ৮৩ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। গত অর্থবর্ষে ২২.৪ কোটি টন অশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছিল। এর ৯ শতাংশের বেশি এসেছিল ইরান থেকে। ঘটনা হল, ডলারের দাম বাড়ার অর্থ আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়া। এই প্রেক্ষিতেই ইরানের তেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

তেল মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, ইরান থেকে আমদানিতে বাধা পড়লে আমেরিকা, সৌদি আরব, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমদানি বাড়াতে হত তেল সংস্থাগুলিকে। কিন্তু ইরান থেকে তেল আমদানির খরচ অনেক কম। ৬০ দিন পরে মেটানো হয় দাম। জাহাজে তেল পরিবহণ, বিমার খরচে ভর্তুকি দেয় তেহরান। ফলে তেলের দাম সস্তা পড়ে। যে কারণে আপাতত এই ছাড় মেলায় স্বস্তিতে কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

US Iran Oil
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE