বিজয় মাল্য। ফাইল চিত্র
কয়েক সপ্তাহ আগেই বিজয় মাল্যের প্রত্যর্পণে সম্মতি দিয়েছে ব্রিটেনের নিম্ন আদালত। আজ ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত মাল্যকে ‘ফেরার আর্থিক অপরাধী’র তকমা দিল মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত। ২০১৮ সালের অগস্টে পলাতক আর্থিক অপরাধী আইন কার্যকর হয়। সেই আইনে এই প্রথম ফেরার তকমা দেওয়া হল কোনও শিল্পপতিকে।
ব্যাঙ্ক প্রতারণায় মাল্যকে ওই তকমা দেওয়ার পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তাঁর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আর্জিও জানিয়েছিল ইডি। পলাতক আর্থিক অপরাধী আইনে সেই নিদানও রয়েছে। আর্জির এই অংশ নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষ আদালতে বিচারক এম এস আজমি।
এতে ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে মাল্যকে নিয়ে। তাঁর প্রত্যর্পণ নিয়ে ব্রিটিশ আদালতের রায়কে ‘জয়’ হিসেবে প্রচার করেছিল বিজেপি। এ দিন তাদের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘মাল্যের মতো ফেরার অপরাধীদের কাঠগড়ায় তোলার আইন এনডিএ আমলেই তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জোট ঘোষণার মুখেই সিবিআইয়ের খাঁড়ার মুখে পড়তে পারেন অখিলেশ!
আইন কী বলছে
• ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী আইন’ পাশ হয় ২০১৮-য়
• ১০০ কোটি বা তার বেশি অঙ্কের আর্থিক অপরাধের অভিযোগ থাকলে প্রযোজ্য
• গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হবে
• অভিযুক্ত যে বিদেশে গিয়ে আর ফিরতে রাজি হচ্ছেন না, তা প্রমাণ করতে হবে
এ দিনের নির্দেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপির মুকুটে আর একটি পালক। কংগ্রেসের বহু নেতা মাল্যের কাছ থেকে সুবিধে নিয়েছেন। কংগ্রেসও মাল্যকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছিল। এটাই আমাদের সঙ্গে ওদের তফাৎ।’’ ব্রিটেনে বসে মাল্য দাবি করেছিলেন, বিদেশে যাওয়ার আগে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করে ব্যাঙ্কের পাওনা মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, ‘‘৪০ বছর ধরে মাল্য নিয়মিত ঋণ শোধ করে আসছেন... আর এক বার সময়ে ঋণ শোধ করতে না পারলেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে চোর হয়ে গেলেন?’’ আজ সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেড়া বলেন, ‘‘বিজেপি বলছে, ২০১৪-তে তাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই সব কিছু হয়েছে। এই জমানারই এক জন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ও তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই মাল্য বিদেশে গিয়েছিলেন। আমি নিশ্চিত, তাঁর গতিবিধি নিয়ে সব তথ্যই সরকারের জানা ছিল। সম্প্রতি আবার আর এক মন্ত্রী বলেছেন যে মাল্য ফেরার নন, অপরাধীও নন।’’
আরও পড়ুন: ভোটব্যাঙ্ক নন, কৃষকেরা অন্নদাতা, ফের ‘কল্পতরু’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
নীরব মোদী ও মেহুল চোক্সীকেও ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী’র তকমা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ইডি। বিশেষ বিচারক এম এস আজমির এজলাসে এ দিন তারও শুনানি হয়। নীরবের আইনজীবীরা জানান, তাঁদের মক্কেল নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তাই ভারতে আসতে পারছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy