বিপুল লগ্নির ভারই বা কী ভাবে বইবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল?
আশ্বাস ছিল। তাই ৪জি স্পেকট্রামের অপেক্ষায় আশায় বুক বেঁধে থেকেছে বিএসএনএল। অথচ সেই সম্ভাবনা পুরো খারিজ না করলেও তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট) এ বার প্রশ্ন তুলল, এতে ব্যবসা আর ক’পয়সা বাড়বে? এ জন্য বিপুল লগ্নির ভারই বা কী ভাবে বইবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি? এই যুক্তিতে বেতন সংশোধনের দাবিতেও প্রশ্ন উঠেছে।
অল ইউনিয়ন্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন্স অব বিএসএনএল (এইউএবি) এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে। বুধবার কলকাতা-সহ সব সার্কেলে বিক্ষোভ-পদযাত্রাও হওয়ার কথা।
৪জি-র হাতিয়ারে বাজার ধরতে কড়া টক্কর চলছে বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে। অথচ স্পেকট্রামের অভাবে ৩জি-র উপরে উঠতে পারেনি বিএসএনএল। এইউএবি এবং অল ইন্ডিয়া রিটায়ার্ড বিএসএনএল এগ্জ়িকিউটিভ এমপ্লয়িজ় ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ডট বিএসএনএলকে দেওয়া চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছে। বক্তব্য, গত কয়েক বছরে ক্রমশ আয় কমেছে সংস্থার। আয়ের প্রায় ৮৯% খরচ হচ্ছে বেতনে।
এত দিন... • দীর্ঘ দিন ধরেই আশ্বাস ছিল, এ বার ৪জি স্পেকট্রাম পাবে বিএসএনএল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা হাতে আসেনি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির। ...অথচ এখন • কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের প্রশ্ন, ৪জি পরিষেবা দিতে গেলে ২৫,৭০০ কোটি টাকা ঢালতে হবে। তার মধ্যে ৬,৬৫৩ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা হিসেবে চেয়েছে বিএসএনএল। বাকি টাকা বাজার থেকে ধার নিয়ে তার সুদ কী ভাবে মেটাতে পারবে সংস্থাটি? • ৪জি পরিষেবা দিয়ে আয় বাড়বে সামান্য। অথচ বিপুল টাকা বেরিয়ে যাবে ধার শোধ দিতে। তা হলে আর ৪জি-র পরিসরে কী করে টক্কর দেবে আর্থিক ভাবে নড়বড়ে সংস্থাটি? কর্মীদের ক্ষোভ • বেসরকারি সংস্থাগুলি যখন ৪জি-র জোরে চুটিয়ে ব্যবসা করছে, তখন বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ওই অস্ত্র হাতে না আসায় নিধিরাম সর্দার হয়ে থাকতে হয়েছে বিএসএনএলকে। অথচ এখন বলা হচ্ছে দুর্বলতার কথা! • আয় যে সামান্য বাড়বে, আগেই কী ভাবে তা বুঝল কেন্দ্র? বাকিরা ব্যবসা করছে কী ভাবে?
বেতন সংশোধন বা ৪জি পরিষেবা চালুর বোঝা কী করে বইবে তারা?
রাজ্যে এইউএবি-র আহ্বায়ক অনিমেষ মিত্র বলেন, ‘‘বলা হয় ৪জি মানুষের জীবন বদলায়। অথচ আমরা এই ব্যবসায় নামলে সামান্য লাভ হবে!’’ তাঁর দাবি, আয় ২০১৬-১৭ পর্যন্ত বাড়ছিল। ৪জি-র মাসুল যুদ্ধে গত বছর থেকে কমছে। ওই স্পেকট্রাম ও প্রাপ্য অর্থ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কেন্দ্র তা পূরণ না করে সংস্থাকে রুগ্ণ করছে। এখন পেনশন বৃদ্ধির সম্ভাবনাতেও সংশয় তৈরি হল বলে মত সংগঠনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক অমিত গুপ্তের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy