রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন এমসিসি চেম্বার-এর প্রেসিডেন্ট অরুণ সরাফের নেতৃত্বাধীন দল। কিন্তু সেখানেও উঠল রাজ্যে শিল্প গড়ার পথে প্রধান কাঁটা জমি সমস্যার প্রসঙ্গ। সমস্যা জানিয়ে দেওয়া হল স্মারকলিপিও।
শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধী রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, শিল্প সরাসরি জমি কিনুক। সে ক্ষেত্রে প্রকল্প রূপায়ণে সাহায্য করবে তারা। সাম্প্রতিক শিল্প সম্মেলনেও সেই অবস্থানে অনড় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শিল্পের অভিযোগ, পুরোটাই স্রেফ মুখের কথা হয়ে থাকছে। তাদের দাবি, জমি জট কাটাতে হয় রাজ্যই জমি কিনুক, নয়তো ছাড়পত্রের সমস্যা মেটাতে আনুক আমূল প্রশাসনিক সংস্কার। এমসিসি-র নয়া প্রেসিডেন্ট হয়ে সরাফও এই দাবি করেছিলেন। স্মারকলিপিতেও ওই সমস্ত সমস্যার কথাই রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
বণিকসভা সূত্রে খবর, রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে ত্রিপাঠির সঙ্গে আলোচনার সময়ই ওঠে সমস্যার দিকগুলি। বণিকসভার কর্তারা বলেন, সংস্থা জমি কিনলেও তার নানা ছাড়পত্র (বিশেষত জমির চরিত্র বদল নিয়ে) পেতে সমস্যার কথা। সরাফের বক্তব্য, হয়তো জমি কিনে দূষণ, বিদ্যুৎ বা কারখানা চালুর লাইসেন্স পাওয়া গেল। কিন্তু জমির চরিত্র না-বদলালে, তার নথিভুক্তি হয় না। ফলে কারখানা চালু হলেও সরকারি উৎসাহ প্রকল্পের সুযোগ পায় না সংস্থা। তাঁদের দাবি, রাজ্য জমি অধিগ্রহণ করলে তা হত না।
বৈঠকে জমির ঊর্দ্ধসীমা আইন তোলার পক্ষেও সওয়াল করা হয়। কিন্তু রাজ্যের এই সব বিষয় নিয়ে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি কেন? সরাফের যুক্তি, রাজ্যকে আগেই তা দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে শিল্পের বিষয়টি ওঠায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy