Advertisement
E-Paper

শিশুও তুলবে সেল্ফি, বাজারে নয়া অ্যাপ

হাসছি মোরা, হাসছি দেখো, হাসছি মোরা আহ্লাদি! খিলখিলিয়ে বা মিটমিটি করে যে ভাবেই হাসো না কেন, তোমার হাসির প্রতিটি মুহূর্ত এ বার লেন্সবন্দি হবে বাবা-মায়ের স্মার্টফোনে। পিটাসবার্গের সফটওয়্যার ডেভেলপার ম্যাথিউ পেগুলা তৈরি করে ফেললেন এমনই এক মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন। নাম যার ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ।’ ঠিক কী ভাবে কাজ করবে এই ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ’?

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৭:৫৩

হাসছি মোরা, হাসছি দেখো, হাসছি মোরা আহ্লাদি!

খিলখিলিয়ে বা মিটমিটি করে যে ভাবেই হাসো না কেন, তোমার হাসির প্রতিটি মুহূর্ত এ বার লেন্সবন্দি হবে বাবা-মায়ের স্মার্টফোনে। পিটাসবার্গের সফটওয়্যার ডেভেলপার ম্যাথিউ পেগুলা তৈরি করে ফেললেন এমনই এক মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন। নাম যার ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ।’

ঠিক কী ভাবে কাজ করবে এই ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ’?

অ্যাপ্লিকেশনটি চালু থাকলে মোবাইলের স্ক্রিনে আপনাআপনিই ভেসে উঠবে মজার মজার ছবি। কখনও পেঁচা কখনও আবার কুকুরছানা। সঙ্গে শোনা যাবে উদ্ভট, মজাদার শব্দ। অচেনা-অজানা এই সব দেখে-শুনে স্বাভাবিক ভাবেই অদ্ভুত অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া দেবে আপনার শিশুটি। আর সেখানেই কাজ করবে ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ।’ কখন কোন মুহূর্তে বাড়ির একরত্তিটি ঠিক কী ধরনের আচরণ করছে সবই ধরা পড়বে ‘বেবি সেল্ফি’-র নজরদারিতে। অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে বাবা-মা অনায়াসেই জেনে নিতে পারবেন ছেলে-মেয়ের ভাল লাগা-মন্দ লাগার জায়গাগুলি। যার ফলে আরও সহজ হয়ে উঠবে দস্যিটাকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানোর কাজ। শিশুর বড় হয়ে ওঠার কোনও মুহূর্তই বাবা-মায়ের চোখের আড়াল হতে দেবে না অভিনব অ্যাপ্লিকেশনটি, অন্তত এমনটাই দাবি করছেন ম্যাথিউ।

পকেট থেকে ৬০ পাউন্ড খরচ করলে যে কোনও স্মার্টফোনেই অনায়াসে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে অ্যাপ্লিকেশনটি। তবে দেখে নিতে হবে মোবাইলটিতে আদৌ ‘ফ্রন্ট’ ক্যামেরা রয়েছে কি না। ব্যাস তা হলেই কেল্লা ফতে। বাড়ির একরত্তিটির হাতে মোবাইল ফোনটি উঠলে নিজে থেকেই একের পর এক রঙিন ছবি তুলতে থাকবে ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ।’ আর ছবিগুলি জমা হতে থাকবে মোবাইলের গ্যালারিতে। ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে বার্তা। দস্যিটার হাতে মোবাইল ফোন থাকাকালীন ঠিক কতগুলো ছবি তুলেছে ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ।’

এর আগে ‘ফটো শেয়ারিং অ্যাপ’ ‘হিটচড পিক’ বাজারে এনে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পিটাসবার্গের এই সফটওয়্যার ডেভেলপার। কাজের দায়ে নয়, মনের তাগিদেই সম্প্রতি ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ’ তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। দিনের অনেকটা সময় কেটে যেত অফিসে। সময় দিতে পারতেন না মাস ছয়েকের ছোট্ট মেয়েটাকে। তার বড় হয়ে ওঠাটা ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেই ‘বেবি সেল্ফি’-র কথা প্রথম মাথায় আসে তাঁর। মেয়েকে ভালবেসে ‘বেবি সেল্ফি অ্যাপ’-এও মেয়ের ছবিই আপলোড করেছেন তিনি।

সদ্যোজাত সন্তানের নাওয়া-খাওয়া, ওঠা-বসা সব কিছুই এখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট মারফত আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে চান বাবা-মায়েরা। সন্দেহ নেই, বাজারে ‘বেবি সেল্ফি’-র আগমন তাঁদের জন্য অবশ্যই খুশির খবর। ধৈর্য ধরে এখন আর মজার মজার মুহূর্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে না তাঁদের।

যদিও ইতিমধ্যেই নেট জগতে ‘বেবি সেল্ফি’ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ম্যাথিউ। প্রশ্ন উঠছে, মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা, ও মুনাফা অর্জনের জন্যই এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন আনা হয়েছে বাজারে। ছোটরা যত নিজেদের ছবি তুলবে, ততই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তা আপলোড করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যাবে বাবা-মায়ের। তাল মিলিয়ে বাড়বাড়ন্ত হবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির, সঙ্গে কত না পণ্যের।

selfie
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy