মহিলা পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য এ বার স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসাতে চলেছে লালবাজার। পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি পথচলতি মহিলারাও বিশেষ প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারবেন।
লালবাজার জানিয়েছে, প্রথম দফায় কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডে ওই ভেন্ডিং মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডে সেই কাজ শুরু হবে, যা শেষ হওয়ার কথা ৫ জুনের মধ্যে। কলকাতা পুলিশের মহিলা শাখার ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে ওই কাজ হবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড থেকে সহজেই স্যানিটারি ন্যাপকিন মিলবে। পুলিশ সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক গার্ডের পরে মহিলা থানা-সহ কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানায় ভেন্ডিং মেশিন বসানোর কথা। কলকাতায় এমন ভেন্ডিং মেশিন নতুন হলেও গত মার্চ মাসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ বালুরঘাট থানায় স্যানিটারি ন্যাপকিনের মেশিন বসিয়েছিল মহিলা পুলিশকর্মীদের জন্য।
পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, এক-একটি যন্ত্র বসাতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হচ্ছে। একটি সংস্থাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন ট্র্যাফিক গার্ডের কোথায় ওই ভেন্ডিং মেশিন বসালে সুবিধা হবে, তা ঠিক করবেন সেখানকার আধিকারিক বা ওসি। সহজেই যাতে সবাই তা ব্যবহার করতে পারেন, এমন জায়গাই বেছে নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ব্যবহৃত ন্যাপকিনকে পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক গার্ডগুলিতে স্থায়ী মহিলা কর্মী না থাকলেও বর্তমানে প্রতিটি গার্ডেই বহু মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। যাঁদের সংখ্যা প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি গার্ডে ওই ভেন্ডিং মেশিন বসলে তাঁদের সুবিধা হবে বলেই দাবি নিচুতলার মহিলা পুলিশকর্মীদের। তবে ওই ন্যাপকিনের দাম কী হবে, তা লালবাজারের তরফে জানানো হয়নি। তবে সূত্রের দাবি, দাম যাতে বেশি না হয়, তা মাথায় রাখা হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের একটি থানার এক মহিলা কর্মীর কথায়, ‘‘ডিউটি করতে এসে সঙ্গে ন্যাপকিন না থাকলে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। অনেক সময়ে আশপাশে দোকানও থাকে না। থানায় বা ট্র্যাফিক গার্ডে এই যন্ত্র বসলে আমাদের সত্যিই খুব সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy