প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যায় আচমকা বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। স্থানীয়েরা গিয়ে দেখেন, একটি বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। আর ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছেন দুই যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রবিবার কামারহাটির গলিঘাটের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ওই দুই যুবকের নাম মহম্মদ সাজিদ ও মহম্মদ রাজা। সাজিদ ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়ার বাসিন্দা। আর রাজা ভাটপাড়ার বাসিন্দা। দু`জনকে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে এক জনের মাথার খুলি উড়ে গিয়েছে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ঘটনাস্থলে মহম্মদ অনীশ নামে আরও এক যুবকও ছিল। বোমা বিস্ফোরণে সে জখম হলেও প্রথমে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ধরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কিন্তু কী ভাবে ওই ঘরে বোমা এল বা তা বিস্ফোরণ হল সেটা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছেও।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, গলিঘাটের ওই টালির চালের ঘরে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। সেই সময়েই বিস্ফোরণ হয়। আবার অন্য একটি অংশের দাবি, এলাকায় একটি বিয়েবাড়িতে কিছু লোকজন এসেছিলেন। সেখান থেকেই তিন জন ওই বাড়িতে ঘুমোতে যান। মেঝেয় বিছানা পেতে শোয়ার সময়ই বোমা ফেটে যায়। তবে কে বা কারা বোমা রেখে দিয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।
অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই কামারহাটির গঙ্গার পাড় সংলগ্ন এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। চলছে বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজকর্মও। কয়েক দিন আগে কামারহাটি ফাঁড়ির পিছন দিকে দুই দলের বচসায় বোমাবাজি হয়। তার পরে এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে এ দিন ঘটনাস্থলে যান বেলঘরিয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও পদস্থ আধিকারিকেরা।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (দক্ষিণ) আনন্দ রায় বলেন, "ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল আসছেন। তাঁরা খতিয়ে দেখবেন পুরো বিষয়টি।" সূত্রের খবর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy