Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘নিখোঁজ’ তিন পুর অ্যাকাউন্ট, প্রশ্ন রিপোর্টে

সম্প্রতি আর্থিক লেনদেনের সময়ে নজরে আসে, তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও খোঁজ নেই। অনেক খুঁজেও সেগুলির হদিস পাওয়া যায়নি। তথ্য বলছে, ওই তিনটি অ্যাকাউন্টে প্রায় এক লক্ষ ২৩ হাজার টাকা রয়েছে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

দেবাশিস ঘড়াই
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪১
Share: Save:

ছিল ১৭৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে তিনটি অ্যাকাউন্টের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেই অ্যাকাউন্টগুলি কবে, কোথায় খোলা হয়েছিল সে সম্পর্কেও কোনও
তথ্য নেই। কলকাতা পুরসভার এই তিনটি অ্যাকাউন্ট হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যাওয়া নিয়ে শোরগোল পড়েছে পুরসভার অন্দরে। পুরসভার অডিট রিপোর্টেও এই তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি নিয়ে শোরগোলের কিছু নেই। অনেক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ফলে এমনটা হতেই পারে। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বরো অফিস, নানা দফতর সব মিলিয়ে মোট ১৭৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। সম্প্রতি আর্থিক লেনদেনের সময়ে নজরে আসে, তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও খোঁজ নেই। অনেক খুঁজেও সেগুলির হদিস পাওয়া যায়নি। তথ্য বলছে, ওই তিনটি অ্যাকাউন্টে প্রায় এক লক্ষ ২৩ হাজার টাকা রয়েছে। অর্থমূল্য খুব বেশি না হলেও তিনটি অ্যাকাউন্টের খোঁজ না পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘সব ক’টি অ্যাকাউন্ট ঠিক রয়েছে। তিনটি হঠাৎ বেপাত্তা। সেগুলি কোন ব্যাঙ্কে, কবে খোলা হয়েছিল সে তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ নিয়ে আলোচনা তো হবেই।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি পুর অডিট রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬-’১৭ সালের অডিট রিপোর্টে ‘এগজামিনার অব লোকাল অ্যাকাউন্ট’-এর তরফে ওই অ্যাকাউন্টগুলির ‘নিখোঁজ’ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ওই তিন অ্যাকাউন্টে যে মোট এক লক্ষ ২৩ হাজার ৩৪০ টাকা ছিল, রিপোর্টে তারও উল্লেখ রয়েছে।

পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে অ্যাকাউন্টগুলির খোঁজ মিলবে কি না, সে ব্যাপারে সরাসরি সংশয় প্রকাশ করেছেন আধিকারিকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ওই অ্যাকাউন্টগুলি সম্ভবত অনেক পুরনো। দীর্ঘ দিন সেগুলির মাধ্যমে লেনদেন না হওয়ায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, ফলে অ্যাকাউন্টগুলির কাগজপত্র কোথায় রয়েছে, তা-ও খুঁজে বের করা কঠিন।

তবে দুর্নীতির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। কর্তৃপক্ষের যুক্তি, এমনটা হতেই পারে। পুরসভার বরো অফিস, বিভিন্ন দফতর মিলিয়ে অনেকগুলি অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্ট বহু আগে খোলা হয়েছে। সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। এর মধ্যে দুনীর্তির আশঙ্কা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMC Kolkata Municipal Corporation Bank Account
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE