চুরমার: দুর্ঘটনাগ্রস্ত এসইউভি। বুধবার, রেড রোডে। —নিজস্ব চিত্র।
সিগন্যালে পরপর গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ একটি গা়ড়ির পিছনে বাস ধাক্কা মারল। সেই গাড়িটি গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারল সামনের লরিতে। লরিটি ধাক্কা মারল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আরও তিনটি গাড়িকে। পুলিশ জানায়, বুধবার ফোর্ট উইলিয়ামের সাউথ গেটের সিগন্যালে এই দুর্ঘটনায় চার জন আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল ধনঞ্জয় ভৌমিক নামে এক ব্যক্তির এসইউভি। একটি সংস্থার হয়ে সেটি চালাচ্ছিলেন তিনি। ‘‘কিছু বোঝার আগেই একটি বাস পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। আমার গাড়ি সামনের লরিতে ধাক্কা মারে। আর কিছু মনে নেই আমার।’’— বললেন ধনঞ্জয়বাবু। তাঁর গাড়িটি লরিতে ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে খুলে গিয়েছিল এয়ারব্যাগ। তাই এ যাত্রা প্রাণে বেঁচেছেন বলে মনে করছেন ধনঞ্জয়বাবু। কিন্তু তাঁর গাড়িটি সম্পূর্ণ তুবড়ে গিয়েছে।
গাড়িটি যে লরিতে ধাক্কা মারে, তার সামনেই একটি ছোট গাড়িতে ছিলেন পাঁচ জন আইন পড়ুয়া। তাঁরা যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ থেকে হাইকোর্টে যাচ্ছিলেন। এঁদের মধ্যে তিন জন মাথায়, বুকে চোট পেয়েছেন। মোবাইলগুলি ভেঙে গিয়েছে। বুকে চোট পাওয়া শুভম দাস বললেন, ‘‘সম্ভবত বেশি গতিতে থাকার কারণেই সিগন্যালে এসে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাসটি।’’
বাসচালক গণেশ হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ। চালকের অবশ্য দাবি, বাসটি ব্রেকফেল করেছে। ‘‘বাসে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিলেন। বেহালা থেকে বাস নিয়ে এসেছি, কিছু হয়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার ঠিক আগেই একটি সিগন্যালে দাঁড়িয়েছি। রেডরোডের সাউথ গেটের ওই সিগন্যালে দেখি ব্রেক কাজ করছে না। গতি কমই ছিল। আমার কিছু করার ছিল না।’’— বললেন গণেশবাবু।
পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাসটি বেপরোয়া ভাবে চলছিল, না কি সত্যিই ব্রেকফেল করেছিল, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy