এই সেই ম্যানহোল। নিজস্ব চিত্র।
আটচল্লিশ ঘণ্টা পেরোলেও শ্যামবাজারে শিশু খুনের কিনারা হল না।
শ্যামবাজারের দেশবন্ধু পার্ক এলাকার শ্যামলাল স্ট্রিটের ফুটপাতে থাকত আড়াই বছরের জবা দাস। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। পুলিশ জানায়, পরদিন শিশুটির মা উল্টোডাঙা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ শ্যামলাল স্ট্রিটের ওই ফুটপাতের কাছেই একটি ম্যানহোল থেকে জবার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ফুটপাতেই তার মা-বাবার সঙ্গে থাকত জবা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এর আগেও দু’বার জবা ফুটপাত থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তার পরে সে নিজেই চলে এসেছিল। তবে বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হওয়ার পরে শুক্রবার রাতে ম্যানহোল থেকে যে ভাবে শিশুটির দেহ মিলেছে, তাতে অবাক তদন্তকারীরাই। শনিবার রাতে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শিশুটিকে গলা টিপে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা ওই শিশুকে খুন করেছে, রবিবার রাত পর্যন্ত তার কোনও সূত্র পায়নি পুলিশ।
শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত শিশুটির মা, মাসি ও মেসোকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উল্টোডাঙা থানার পুলিশ। ডিসি (ইএসডি) দেবস্মিতা দাস নিজেও শনিবার রাতে কয়েক ঘণ্টা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পুলিশ জেনেছে, এর আগে মৃত শিশুর বাবা-মা কখনও টালা, কখনও শ্যামবাজার আবার কখনও উল্টোডাঙার বিভিন্ন ফুটপাতে থেকেছেন। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরেও খুনের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। রবিবার দুপুরেও মৃত শিশুর মা ও মাসিকে ডেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনের জিজ্ঞাসাবাদেও কোনও সূত্র মেলেনি। তদন্তকারীরা জানান, শিশুটির বাবা মানসিক রোগী। শুক্রবার রাতে শিশুটির বাবাকেও উল্টোডাঙা থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়না-তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলে সব কিছু পরিষ্কার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy