প্রতীকী ছবি।
ভাড়াটেকে খুনের অভিযোগ উঠল বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ট্যাংরার ডি সি দে রোডে। ওই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাড়ির মালিক–সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে এক ভাড়াটের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল মালিক অনিল দাসের। অভিযোগ, অনিল গোলমালের মধ্যে সুনীল নামে ওই ভাড়াটের মাথার পিছনে ইট দিয়ে আঘাত করে। সুনীলকে আঘাত করতে দেখে তাঁর এক আত্মীয় মনোজ রাম এবং গৌতম দাস নামে আর এক ভাড়াটে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁরা ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তখন সেখানে অনিল ছাড়াও বাড়ির মালিকপক্ষের বেশ কয়েক জন সদস্য হাজির হয়। অভিযোগ, তারা সুনীলকে ছেড়ে মনোজকে আক্রমণ করে। সকলে মিলে মনোজকে মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। গোলমালের মধ্যে অনিল একটি কাঁচি নিয়ে মনোজের বুকের ডান দিকে ঢুকিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মনোজকে দেখে গৌতম বাঁচাতে গেলে অনিল তাঁকেও কাঁচি দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। গৌতমের ডান হাতে আঘাত লাগে। অভিযোগ, এখানেই ঘটনার শেষ হয়নি। এর পরে রক্তাক্ত মনোজের মাথায় পিছন থেকে লাঠি দিয়ে মারে মালিকের ভাইপো রবি দাস। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনোজ।
ইতিমধ্যে মনোজ ও অন্যান্য ভাড়াটের পরিবারের সদস্যেরা সেখানে জড়ো হলে মালিক অনিল দাসের পরিবারের লোকজন বাড়ির ভিতরে ঢুকে যায়। মনোজ ও সুনীলকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মনোজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় ট্যাংরা থানায়। রবিবার সকালে মনোজ রামের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অনিল দাস-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy