এই সেই গাড়ি।—নিজস্ব চিত্র।
দশমীর রাতে বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে মত্ত দুষ্কৃতীদের হাতে নিগৃহীত হলেন এক দম্পতি। তাঁরা চাকরি সূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। পুজো উপলক্ষে কলকাতায় এসেছিলেন।
ডানলপের কাছে রথতলার বাসিন্দা সৌরভ ঘোষ। বেঙ্গালুরুতে একটি মাল্টি-জিমের ইনস্ট্রাকটর। তাঁর বন্ধু অরিন্দম দে বরাহনগরের মল্লিক কলোনির বাসিন্দা। দশমীর রাতে অরিন্দমের বাড়িতেই গিয়েছিলেন সস্ত্রীক সৌরভ।শনিবার অরিন্দম বলেন,“সৌরভ আমার ছোটবেলার বন্ধু। অনেক দিন পর এ বার কলকাতায় এসেছিল ওরা। তাই দশমীতে আমার বাড়িতে স্ত্রী প্রীতিকে নিয়ে এসেছিল। সঙ্গে ছিলেন সৌরভের বন্ধু রূপ এবং সোনু। শুক্রবার রাত পৌনে একটা নাগাদ ওদের সবাইকে বিটি রোডের মুখ পর্যন্ত ছেড়ে দিতে গিয়েছিলেন অরিন্দম।সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁরা গল্প করছিলেন। গাড়িতে সামনের আসনে বসে ছিলেন প্রীতি। পেছনে ছিলে অন্য এক বন্ধু।
বাকিরা গাড়ি থেকে একটু এগিয়ে একটা দোকানে গিয়েছিলেন। অরিন্দমের কথায়, “হঠাৎই প্রীতির গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। উত্তেজিত স্বরে কিছু বলছিল।” সেই আওয়াজ শুনে অরিন্দম এবং সৌরভ ছুটে যান। তাঁদের অভিযোগ,ওখানে গিয়ে দেখেন কয়েকটি যুবকের সঙ্গে তুমুল বচসা হচ্ছে প্রীতির। তাঁর কাছ থেকে ওঁরা জানেন, গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কয়েকজন যুবক বসেছিলেন।তাঁরা মত্ত ছিলেন সবাই। অভিযোগ, তারা প্রীতিকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করছিল। প্রীতি তার প্রতিবাদ করতেই ওই যুবকেরা গাড়ির কাছে এগিয়ে আসেন। গাড়িতে থাকা তাঁদের অন্য এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে শুরু হয়ে যায় বচসা এবং ধস্তাধস্তি।
আরও পড়ুন: বাইকে স্টান্টবাজি দেখাতে গিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে মৃত্যু কিশোরের
আরও পড়ুন: পুজোর মধ্যে ফাঁকা বাড়ি, একের পর এক চুরি দক্ষিণ কলকাতায়
অভিযোগ, এর মধ্যেই একজন যুবক গাড়ির পিছনে একটি ইট ছুড়ে মারে। কাচ ভেঙে গাড়ির ভিতরে ঢুকে যায় সেই ইট। অরিন্দম অভিযোগ করেন, ততক্ষণে পুলিশকে ফোন করা হয়েছে। এর মধ্যে ওই যুবকরা গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়। সৌরভ এবং তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, হামলাকারীরা এরপর টিউব ভাঙতে থাকে গাড়ির উপর। সেই ভাঙা টিউবেরই কাচ ঢুকে যায় সৌরভের গলায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই একজনকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা প্রত্যেকেই স্থানীয়। বরাহনগর থানার এক আধিকারিক বলেন,“আমরা তিনজনকে চিহ্নিত করেছি। তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy