অঘটন: দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই মোটরবাইক। —নিজস্ব চিত্র।
ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়া গতিতে স্কুটারকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠল জনৈক সরকারি আমলার গাড়ির বিরুদ্ধে। দুর্ঘটনার সময়ে ওই আমলা গাড়িতেই ছিলেন। এর আগে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর সরকারি প্রচার উপেক্ষা করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে মোটরবাইক থেকে বেসরকারি গাড়ি। কিন্তু শহরের বুকে সব নজরদারি উপেক্ষা করে যে ভাবে ওই আমলার গাড়ি চলছিল, তাতে অবাক পুলিশের একাংশই। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে চালক কানাইলাল দেওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিও।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে টালিগঞ্জ থানার মুদিয়ালিতে। গাড়িটির ধাক্কায় জখম হন স্কুটারের দুই আরোহী সুরজ পাণ্ডে এবং রামনারায়ণ প্রসাদ। তাঁদের এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুরজ এবং রামনারায়ণ একটি বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থার কর্মী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দু’জনেরই কাঁধে এবং পায়ে আঘাত লেগেছে। এর মধ্যে রামনারায়ণের পা ভেঙে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি গাড়িটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবনন্দন কুমারের। সেটি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড ধরে চারু মার্কেটের দিক থেকে টালিগঞ্জ থানার দিকে যাচ্ছিল। মুদিয়ালির কাছে চালক দ্রুত গতিতে ট্র্যাফিক সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতক্ষ্যদর্শীদের থেকে পুলিশ জেনেছে, ওই সময়ে লেকের দিক থেকে প্রতাপাদিত্য রোডের দিকে স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুরজ। পিছনে বসেছিলেন রামনারায়ণ। অতিরিক্ত জেলাশাসকের গাড়িটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে স্কুটারটিকে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন চালক ও আরোহী।
পরে হাসপাতালে শুয়ে সুরজ জানান, তিনি সিগন্যাল সবুজ দেখে স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকাই গাড়িটি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে। অতিরিক্ত জেলা শাসক দেবনন্দনবাবু বলেন, ‘‘মোবাইলে কথা বলছিলাম। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, বলতে পারব না। তবে পুলিশের সাহায্যে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই এলাকাবাসীরা সরকারি গাড়িটিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশ পৌঁছে ওই সরকারি আমলা এবং তাঁর চালককে উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় সিগন্যাল থাকলেও পুলিশি নজরদারি থাকে না। ফলে বেশিরভাগ সরকারি গাড়ি সিগন্যাল উপেক্ষা করেই বেপরোয়া ভাবে দ্রুত গতিতে যাতায়াত করে। লালবাজারের অবশ্য দাবি, ওই এলাকায় সব সময়েই পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকে। এ ছাড়া, সিসিটিভির মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy