প্রতীকী ছবি।
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহর জুড়ে স্কুলের আশপাশেই বিক্রি হচ্ছে পানমশলা, সিগারেট। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবণতা থেকেই বোঝা যাচ্ছে এখনও সচেতন নয় শহর। কিশোর বয়স থেকেই মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও দিনে দিনে বাড়ছে। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় কিংবা উন্নত মানের কেমোথেরাপির জন্য প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রয়োজন দক্ষ চিকিৎসকও। শুক্রবার সেই লক্ষ্যেই কলকাতায় আয়োজিত হয়েছিল এক কর্মশালার।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় মোট ক্যানসার রোগীর এক তৃতীয়াংশ মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত। শহরের একাধিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। তবে, পাশাপাশি প্রয়োজন দক্ষ ক্যানসার-শল্য চিকিৎসক। তাই ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব হেড অ্যান্ড নেক অঙ্কোলজি সোসাইটিস এবং ফাউন্ডেশন ফর হেড অ্যান্ড নেক অঙ্কোলজি যৌথ উদ্যোগে প্রায় সাড়ে ছ’শো ক্যানসার শল্য চিকিৎসককে নিয়ে একটি আলোচনা চক্র ও কর্মশালার আয়োজন করেছে। রোগ নির্ণয়, অস্ত্রোপচার থেকে কেমোথেরাপি-সহ নানা বিষয়ে নতুন চিকিৎসকদের হাতে-কলমে কাজ শেখাবেন আমেরিকা, ব্রিটেন, কানা়ডা থেকে আসা ক্যানসার বিশেষজ্ঞেরা। এসএসকেএম, চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল-সহ বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও কর্মশালাটি চলছে। ক্যানসার রোগীদের নিয়ে তৈরি ‘কণ্ঠ’ চলচ্চিত্রের ট্রেলার এ দিনই প্রথম কলকাতায় দেখানো হয়।
এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক ক্যানসার শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত অনেকেই দেরিতে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা খুব জটিল হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে নতুন চিকিৎসকদের এই অভিজ্ঞতা রোগী পরিষেবায় কাজে লাগবে।’’ আরেক আয়োজক চিকিৎসক সৌরভ দত্তের কথায়, ‘‘লাইভ সার্জারি থেকে হাতে-কলমে কাজ সব কিছুই নতুন চিকিৎসকেরা দেখতে ও শিখতে পারছেন। কলকাতার রোগীকে এ শহরেই চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো, প্রযুক্তির পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই কর্মশালা সেই কাজে সাহায্য করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy