প্রতীকী ছবি।
পুলিশি জেরা এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিল পঞ্চসায়র-কাণ্ডে ধৃত ট্যাক্সিচালক। মঙ্গলবার লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তা তেমনটাই জানিয়েছেন। এখন এই ঘটনায় দ্বিতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে জোর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এর মধ্যেই এ দিন আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দি গ্রহণ বাতিল হয়ে যায়। নতুন তারিখ পাওয়ার জন্য পুলিশের তরফে দ্রুত আবেদন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে লালবাজার।
ধৃত ট্যাক্সিচালক উত্তম রাম পুলিশের কাছে প্রথমে দাবি করেছিল, ‘বৃদ্ধাশ্রমে’ পৌঁছে দিলে ১০০ টাকা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। তবে নানা জায়গায় ঘুরেও টাকা না দেওয়াতেই মহিলাকে ট্যাক্সি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল সে।
কিন্তু সোমবার রাতে এবং তার পরে মঙ্গলবারও নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কাঠিপোতায় ধৃতকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের মুখে তার কথায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। লালবাজারের এক শীর্ষ তদন্তকারী বলেন, ‘‘সেই সময়েই জেরায় ধৃত স্বীকার করে যে, সে মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। আমরা যে জায়গাটি ‘প্লেস অব অকারেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম, সেটিও ধৃতের দেখানো জায়গার সঙ্গে মিলে গিয়েছে।’’ ওই তদন্তকারী আরও বলেন, ‘‘ট্যাক্সিতে মহিলা এবং চালক, এই দু’জন থাকলেও এ বার দেখতে হবে, ওই ঘটনাস্থলে সেই সময়ে আরও কেউ এসেছিল কি না। ধৃত ট্যাক্সিচালক এক জায়গায় রাস্তাও বদল করেছিল। সেই জায়গার ফুটেজ হাতে নেই। সেখান থেকে গাড়িতে কেউ উঠেছিল কি না, তা-ও দেখতে হবে।’’
তবে এর মধ্যেই মহিলার গোপন জবানবন্দি পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সমস্যায় ফেলেছে লালবাজারকে। কারণ, এই সমস্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত জবানবন্দি নেওয়া প্রয়োজন বলে তদন্তকারীদের দাবি। মহিলার দিদিও এ দিন বলেন, ‘‘আবার দিন পিছিয়ে গেল। দ্রুত বিচার চাই।’’ আলিপুর আদালতের এক সরকারি আইনজীবী জানান, এ দিন নানা মামলা থাকায় জবানবন্দি গ্রহণের সময় হয়নি। পরের দিন এক জন স্পেশাল এডুকেটরের উপস্থিতিতে এই কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy