রাতের বাস পরিষেবাকে জনপ্রিয় করতে পরিকল্পনায় বদল আনছে পরিবহণ দফতর। তার জন্য বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি, বাসচালকদের ‘ভূমিকা’তেও বদল আনতে চাইছে তারা।
গত ৭ মার্চ থেকে রাতে সরকারি বাস পরিষেবা শুরু হয়েছিল। গত তিন মাসে বিভিন্ন সময়ে এই পরিষেবা খতিয়ে দেখতে আচমকা পরিদর্শন করেছেন দফতরের আধিকারিকেরা। সেই সময়ে বারবারই সামনে এসেছে যে, রাতের এই পরিষেবার বিষয়টি অনেক যাত্রীদের কাছে অজানা। দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘রাতে নিয়মিতদের পাশাপাশি অনেক যাত্রীই থাকেন, যাঁরা সমস্যায় পড়ে রাস্তায় বার হন। পরিষেবার বিষয়ে তাঁরা অনেকেই জানেন না। তাই আমজনতাকে জানাতে হবে।’’ ‘অজানা’ এই পরিষেবা সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করতে তাই বিজ্ঞাপনে ভরসা রাখছে পরিবহণ দফতর। রাতের বাসগুলির বেশির ভাগই হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে। সেখানে আরপিএফের বুথগুলিতে এ নিয়ে পোস্টার তৈরি করছে দফতর। মঙ্গলবারই তার নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, হাওড়ার সিটিসি বাস টার্মিনাসে দেওয়াল লিখনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে রাতে বাসচালকেরা ঠিকমতো সব স্টপে দাঁড়ান না বলে একাধিক অভিযোগ এসেছে দফতরে। এ নিয়ে একাধিক বার চালকদের ‘সতর্ক’ করেছেন দফতরের আধিকারিকেরাও। এ বার সেই সমস্যা সমাধানে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ‘নাইট স্টপ’ চিহ্নিত করেছে পরিবহণ দফতর। হাসপাতাল-নার্সিংহোম, ছাত্রাবাস, শ্মশান, কবরস্থান-সহ মোট ৫০টি ‘নাইট স্টপ’ তৈরি করা হয়েছে। যাত্রী না থাকলেও প্রতিটি ‘নাইট স্টপে’ ৪০ সেকেন্ড করে বাস দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যাবে আশাবাদী দফতরের কর্তারা।
বর্তমানে রাতের শহরে যাতায়াতের অন্যতম ‘ভরসা’ অ্যাপ নির্ভর পরিষেবা। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সময়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু রাতের বাসে তেমন সমস্যা এখনও পর্যন্ত নেই বলেই দাবি আধিকারিকদের। ওই আধিকারিক বলছেন, ‘‘এটাই শহরের সব চেয়ে নিরাপদ পরিষেবা।’’ উল্লেখ্য, রাতের বাসগুলিতে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হয় নিয়মিত। দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালিয়ে কোনও সমস্যা হলেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাই এখনও পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy