ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
কলকাতা শহরে ট্রেড লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে কোথাও কোথাও দালালেরা টাকা তুলছে বলে পুর অফিসারদের সতর্ক করলেন খোদ মেয়র। বুধবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে কড়েয়ার বাসিন্দা সোমা সাহা ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগে জানান, তাঁর বাবার একটি ব্যবসা রয়েছে। ট্রেড লাইসেন্সও বাবার নামেই ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পরে সেই লাইসেন্সে নাম বদলের জন্য মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে পুরসভায়। তা সত্ত্বেও ওই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ শুনে মেয়র তাঁকে বলেন, ‘‘আমি তদন্ত করতে বলছি। কেন এমন হল, তা দেখতে চাই।’’ সোমাদেবীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘‘লাইসেন্স দফতরের কর্মীরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। চিন্তা করবেন না। পুরসভা ব্যাপারটা দেখবে।’’ ফোন নামিয়েই অনুষ্ঠানে হাজির থাকা পুর কমিশনার-সহ দফতরের আধিকারিকদের তিনি বলেন, ‘‘গড়িয়াহাট দালালে ভরে গিয়েছে। দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নিন। দালালি বন্ধ করতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, পুর ভবনেও প্রায় প্রতিদিনই দালালি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়ে। মূলত বিল্ডিং, লাইসেন্স এবং কর মূল্যায়নের মতো দফতরের ক্ষেত্রেই দালালির অভিযোগ বেশি। মাসখানেক আগে মেয়র নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘‘দালাল দেখলেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’’ তাতে পুর ভবনে দালালদের রমরমা কিছুটা কমলেও এখনও নির্মূল হয়নি। পুর ভবনের বাইরে গড়িয়াহাট-সহ পুরসভার একাধিক অফিসেও যে এই সমস্যা রয়েছে, তা ধরা পড়েছে মেয়রের কথাতেও।
ওই অনুষ্ঠানে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিমতলা ঘাট স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা অমৃতা সাহা মেয়রকে জানান, তাঁদের জীর্ণ বাড়িটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এখনই কিছু করা না হলে ভেঙে পড়ে জীবনহানি ঘটতে পারে। ওই বাড়িতে কোনও ভাড়াটে রয়েছে কি না, বাড়ি ভাঙা হলে তাঁরা কোথায় থাকবেন, এ সব বিষয় নিয়ে বিল্ডিং দফতর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানান মেয়র। বেহালার বাসিন্দা বীরেন দাস অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ির সামনে পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হলেও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তা শুনে মেয়র সংশ্লিষ্ট অফিসারকে সেই কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy