Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় ফের আহত

চিনা মাঞ্জার আক্রমণে একের পর এক মোটরবাইক চালকের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা কিছুতেই থামছে না।

অঘটন: আহত যুবক শুভ্রজিৎ রায়চৌধুরী। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

অঘটন: আহত যুবক শুভ্রজিৎ রায়চৌধুরী। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২০
Share: Save:

ফের চিনা মাঞ্জার ‘হামলা’, ফের মা উড়ালপুল!

চিনা মাঞ্জার আক্রমণে একের পর এক মোটরবাইক চালকের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা কিছুতেই থামছে না। সম্প্রতি চিনা মাঞ্জা থেকে বাইক আরোহীদের রক্ষা করতে কলকাতা পুলিশ সেতুর রেলিংয়ের উপরে জাল লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তা কার্যকর হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঞ্জায় নাক-ঠোঁট কাটলেন বেসরকারি বিমান সংস্থার নিরাপত্তা বিভাগের এক কর্মী।

এই ঘটনা আরও এক বার প্রমাণ করল হাজারো নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি শহরে চিনা মাঞ্জার বিক্রি। এ দিনের ঘটনার পরে পুলিশের কাছে অবশ্য কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি আক্রান্ত যুবক শুভ্রজিৎ রায়চৌধুরী। ফুলবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর নাক ও ঠোঁটে সেলাই পড়েছে। হাওড়ার চুনাভাটি এলাকার বাসিন্দা শুভ্রজিৎ জানান, এ দিন তিনি বেলেঘাটায় দাদার বাড়ি যাচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ মা উড়ালপুলের চার নম্বর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছে মাঞ্জায় আক্রান্ত হন।

যুবক জানান, আচমকাই তিনি বুঝতে পারেন তাঁর হেলমেটে কিছু জড়িয়ে গিয়ে টান লাগছে। কোনও মতে ব্রেক কষে মোটরবাইক থামান শুভ্রজিৎ। লুকিং গ্লাসে তিনি দেখেন, হেলমেটে সুতো পেঁচিয়ে গিয়েছে। মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। শুভ্রজিৎ বলেন, ‘‘কোনও মতে বাইকটি এক পাশে দাঁড় করিয়ে হেলমেটে জড়িয়ে যাওয়া সুতো খুলে ফেলি। কিন্তু নাক ও ঠোঁটে তীব্র জ্বালা হচ্ছে বুঝতে পারি। এর পরেই দেখি, ঠোঁটের দুই কোণ ও নাকের মাঝের অংশ কেটে গিয়েছে।’’ যুবকের জ্যাকেট-প্যান্ট তত ক্ষণে রক্তে ভরে গিয়েছে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন অন্য গাড়ির চালকেরা। শুভ্রজিৎ জানান, রুমাল দিয়ে নাক ও ঠোঁট বেঁধে তিনি নিজেই ফের বাইক চালিয়ে বেলেঘাটায় রওনা দেন। সেখানেই এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর নাক ও ঠোঁটে চারটি সেলাই হয়েছে।

গত কয়েক মাসে মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জার ‘হামলায়’ রক্তাক্ত হতে হয়েছে দু’-তিন জন মোটরবাইক আরোহীকে। সে সবই জানেন শুভ্রজিৎ। কিন্তু সেই ঘটনা যে তাঁর সঙ্গেই ঘটবে তা ভাবতে পারেননি বলে জানাচ্ছেন ওই যুবক। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন এই উড়ালপুল দিয়েই অফিসে যাতায়াত করি। উড়ালপুলে উঠলে এর পরে তো রীতিমতো আতঙ্ক তাড়া করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Injury Kite Thread Maa Flyover
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE