অদিতি সিংহ। —নিজস্ব চিত্র
সাত দিনের মধ্যে ফের কলকাতায় অঙ্গদান। এ বার খড়দহের বাসিন্দা অদিতি সিংহের ‘ব্রেন ডেথ’ হওয়ায় প্রাণ ফিরে পেলেন তিন জন গ্রহীতা। দু’জনের কিডনি এবং এক জনের যকৃৎ সফল ভাবে প্রতিস্থাপন হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
বুধবার গভীর রাতে গ্রিন করিডর করে অ্যাপেলো হাসপাতাল থেকে অঙ্গ নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। সময় লাগে মাত্র ১৩ মিনিট। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন দুই অঙ্গ গ্রহীতার অপারেশনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
অ্যাপোলোয় চিকিৎসা চলাকালীন খড়দহের বাসিন্দা অদিতি সিংহের ‘ব্রেন ডেথ’ হয়। তার পরেই হাসপাতালের তরফে মৃতার পরিবারকে অঙ্গ দানের বিষয়ে কাউন্সেলিং করানো হয়। পরিবারও অঙ্গদানের গুরুত্ব বুঝে রাজি হয়ে যান। ঠিক হয় মৃতার লিভার, দু’টি কিডনি এবং কর্নিয়া দান করা হবে।
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, হরিদেবপুরে সদ্যোজাতকে খুন করে স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা স্ত্রী-র
এর পরেই অদিতি সিনহার কিডনি ও যকৃৎ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। ভোর রাতে কলকাতা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, রিজিওনাল অর্গ্যান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অথরিটি (রোটো) এবং কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় এসএসকেএম হাসপাতালে একটি কিডনি এবং যকৃৎ গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসা হয়।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর চণ্ডীচরণ ঘোষের দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। তিনি বছর দেড়েক ধরে যকৃতের সমস্যায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে যকৃৎ প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হয়। অন্য দিকে, এসএসকেএম হাসপাতালে ট্যাংরার বাসিন্দা উমা পারেখারের দেহ প্রতিস্থাপিত হয় একটি কিডনি। অদিতি দেবীর আরও একটি কিডনি প্রতিস্থাপন হয় অ্যাপোলে হাসপাতালে। তিনটি অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে এখনই তাঁদের বিপদমুক্ত বলা যাবে না। তার জন্য ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। আপাতত তাঁরা হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
আরও পডু়ন: গাড়িতে তুলে মারধর সিভিক ভলান্টিয়ারকে
অন্যান্য অঙ্গের প্রতিস্থাপনের জন্য গ্রহীতা মিললেও, এ বারও বিভিন্ন কারণে হার্ট প্রতিস্থাপন করা যায়নি। অদিতির মতোই অ্যাপোলোয় মীরা দে নামে আরও এক রোগীর ব্রেন ডেথ হয়। দুই পরিবারের সম্মতি থাকা স্বত্ত্বেও হার্ট প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
গত শনিবারই এসএসকেএমে ব্রেন ডেথ হওয়া কিশোরী মল্লিকা মজুমদারের কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়। হায়দরাবাদ থেকে অজয় রমাকান্ত নায়েকের দেহে লিভার প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল। দু’জনকে কিডনিও দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে এক গ্রহীতা অবশ্য মারা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy