—ফাইল চিত্র।
তল্লাশি ও নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারগুলিতে রয়েছেন এক জন করে শৃঙ্খলারক্ষা অফিসার। কারারক্ষী থেকে শুরু করে অন্য কর্মীদের দেহ এবং ব্যাগ ঠিক মতো তল্লাশি হচ্ছে কি না, তা দেখাই তাঁদের কাজ। অথচ, সেই অফিসারদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে চিকিৎসক অমিতাভ চৌধুরী অবাধে মাদক, মোবাইল থেকে শুরু করে বেআইনি জিনিস নিয়ে জেলের ভিতরে ঢুকতেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারা দফতরের কর্মীদের একাংশের মধ্যেই।
শুক্রবার রাতে ঠান্ডা পানীয়ের বোতলে মদ, দু’কেজিরও বেশি গাঁজা, ৩৫টি মোবাইল, ৩০টি চার্জার, হিটারের কয়েল-সহ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে আলিপুর জেলে ঢোকার সময়ে ধরা পড়ে যান অমিতাভ। অভিযোগ উঠেছে, আগেও একাধিক বার তাঁর মাধ্যমেই বন্দি আবাসিকদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে মোবাইল, মাদক, ব্লেড থেকে শুরু করে যাবতীয় বেআইনি জিনিস। কিন্তু যেহেতু পেশাগত কারণে সংরক্ষিত এলাকায় অমিতাভর অবাধ যাতায়াত ছিল, তাই বাধার মুখে পড়েননি তিনি। তবে কারা কর্তাদের অনুমান, অন্য কর্মীদের সাহায্য ছাড়া অমিতাভর পক্ষে একা এমন কাজ করা সম্ভব নয়। তাঁদের আরও অনুমান, এর পিছনে শৃঙ্খলারক্ষা অফিসারদেরও হাত থাকতে পারে।
এই অফিসারদের কাজ কী? কারা দফতর সূত্রের খবর, বন্দিদের কাছে মোবাইল বা মাদক পাচার বন্ধ করতেই তাঁদের নিয়োগ করেছে দফতর। সাধারণত, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাই এই পদে নিযুক্ত হন। আলিপুর জেলেও আছেন এক শৃঙ্খলারক্ষা অফিসার। কিন্তু অভিযোগ, অমিতাভর নামে অভিযোগ রয়েছে জেনেও ওই অফিসার তাঁর দেহ বা ব্যাগ তল্লাশি করতেন না। এমন একাধিক অভিযোগ পেয়ে আলিপুর জেলে বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন খোদ ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) বিপ্লব দাস। শুক্রবারের ওই অভিযানের কথা সুপার এবং কয়েক জন আধিকারিক ছাড়া আর কাউকে জানতে দেননি তিনি। এমনকি, সংশ্লিষ্ট শৃঙ্খলারক্ষা অফিসারও জানতেন না। আর তাতেই ফল মিলেছে— মত কারা কর্তাদের একাংশের। এই লেনদেনে অমিতাভর সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত, তা-ও খতিয়ে দেখা শুরু করছেন কারা কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy