প্রতীকী ছবি।
সদর দরজা ভাঙতেই দেখা গেল এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ। পাশের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। বন্ধ বাড়ি থেকে এ ভাবে দু’টি পচাগলা দেহ উদ্ধার হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, পাটুলির কানুনগো পার্কে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাটুলি থানায় খবর যায় পি-৩৬ কানুনগো পার্কের বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। অনেক ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া মিলছে না। খবর পেয়ে ওসি এলাকায় পৌঁছন। পড়শিদের সামনেই বাড়ির দরজা ভেঙে দেখা যায়, ঢোকার মুখে পড়ে রয়েছে এক মহিলার পচাগলা দেহ। পাশের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির দেহ। তবে ওই বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।
পুলিশ পড়শিদের থেকে জেনেছে, মৃতা মহিলার নাম মঞ্জুশ্রী মিত্র (৮৮)। অন্য দেহটি তাঁরই ছেলে শুভময় মিত্রের। পড়শি এবং মিত্র পরিবারের বন্ধু শঙ্করানন্দ গুহের কাছ থেকে পুলিশ আরও জেনেছে, বাড়িটি মঞ্জুশ্রী মিত্র ও তাঁর স্বামী স্নেহময় মিত্রের। স্নেহময়বাবু বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। তার পর থেকে ছেলে ও মা এই বাড়িতে থাকতেন। লেক মার্কেটে বাবার ভাড়া নেওয়া একটি বইয়ের দোকান চালাতেন শুভময়। কিন্তু লকডাউনের আগে দোকানের দখল হারান তিনি। তার পর থেকেই শুরু হয় আর্থিক সঙ্কট। তিন মাস আগে পর্যন্ত শুভময় কলকাতা পুরসভায় চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকের কাজ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের অনুমান, আর্থিক সঙ্কটের কারণে শুভময় আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে তাঁর মায়ের মৃত্যু কী করে হল, তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, অসুস্থ মাকে মারার পরে শুভময় আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে প্রাথমিক তদন্তে মঞ্জুশ্রীদেবীর দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। পুলিশের অনুমান, এমনও হতে পারে, ওই বৃদ্ধা অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গিয়েছেন। সবটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy