Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঝড়বৃষ্টিতে টালির চাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার

সোমবার রাতে, হরিদেবপুর থানা এলাকার জোকা কাজির চকে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত বৃদ্ধার নাম মণিবালা চট্টোপাধ্যায় (৭০)।

টালির চালের এই ঘর ধসে পড়েই মৃত্যু হয় মণিবালা চট্টোপাধ্যায়ের (ইনসেটে)। মঙ্গলবার, জোকায়। —নিজস্ব চিত্র।

টালির চালের এই ঘর ধসে পড়েই মৃত্যু হয় মণিবালা চট্টোপাধ্যায়ের (ইনসেটে)। মঙ্গলবার, জোকায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০১:২৫
Share: Save:

টালির চালের বাড়িতে মা একা রয়েছেন। তাই আচমকা ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে দেখে ছেলে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছিলেন। ভেবেছিলেন, দুর্যোগের সময়ে হয়তো আত্মীয়েরা তাঁর মাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন, ঝড়ে টালির ঘর ধসে পড়েছে। আর তার নীচেই চাপা পড়েছেন মা। ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার রাতে, হরিদেবপুর থানা এলাকার জোকা কাজির চকে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত বৃদ্ধার নাম মণিবালা চট্টোপাধ্যায় (৭০)। কয়েক মিনিটের দমকা ঝড়ের সময়ে বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। পুলিশের অনুমান, ঝড় শুরু হওয়ার পরে তিনি বাইরে বেরোতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই ঘরের টালির চাল তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে। মঙ্গলবার ওই বৃদ্ধার দেহ ময়না-তদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃদ্ধার এক ছেলে এবং বৌমা রয়েছেন। কিছু দিন আগেই তাঁর ছেলে অনাথ চট্টোপাধ্যায় ওই টালির বাড়িটির পাশে একটি একতলা পাকা বাড়ি তৈরি করেন। কিন্তু বৃদ্ধার কোমরে ও পায়ে ব্যথা থাকায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামায় অসুবিধা হত। তাই তিনি পুরনো টালির বাড়িতেই থাকতেন। অনাথবাবু জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছেন। এ দিন দুর্যোগের সময়ে বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধা। তাই ঝড়বৃষ্টি শুরু হতে কেওড়াপুকুরের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে আসেন অনাথবাবু। এলাকার এক বাসিন্দা মিনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঝড়ের আগে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির কাছে মন্দিরে গিয়ে বসেছিলেন মণিবালাদেবী। পরে রাতে অনাথের চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি ওই অবস্থা।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, খবর পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন মণিবালাদেবীর পুত্রবধূ। প্রতিবেশীদের ভিড়ও লেগে রয়েছে। তাঁরাই জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আশঙ্কায় এর আগে মণিবালাদেবীকে পাকা বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে পুরনো বাড়িতে ফিরে যান তিনি। অনাথবাবুর আফশোস, ‘‘ঝড় আসছে যদি আগে বুঝতে পারতাম, তা হলে হয়তো মাকে এই ভাবে চলে যেতে হত না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Woman Strom
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE