প্রতিবাদ: পুরসভার ডগ পাউন্ডের সামনে বিক্ষোভ পশুপ্রেমীদের। সোমবার, ট্যাংরায়। ছবি: সুমন বল্লভ
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন বহু মানুষ। এ বার কুকুরের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল খাস কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা।
একদল পশুপ্রেমীর অভিযোগ, নির্বীজকরণের নামে পথকুকুরদের হত্যা করা হচ্ছে। নির্বীজকরণের জন্য অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসায় গাফিলতিতেও মারা যাচ্ছে অনেক কুকুর। এরই প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে ধাপা এলাকায় কলকাতা পুরসভার ডগ পাউন্ডের সামনে পোস্টার হাতে ‘নিঃশব্দ আন্দোলন’ করলেন প্রায় জনা পঞ্চাশ পশুপ্রেমী। তাঁদের তরফে মণীশ সাহা বলেন, ‘‘কুকুরের নির্বীজকরণের বিরোধিতা আমরা করছি না। কিন্তু, যে ভাবে রাস্তা থেকে কুকুরদের ধরা হয় সেটা সম্পূর্ণ আইন-বিরুদ্ধ।’’
মণীশ জানান, ‘অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অব ইন্ডিয়া’-র নির্দেশ অনুযায়ী জাল দিয়ে পথকুকরদের ধরার কথা। অথচ কলকাতা পুরসভা অমানবিক ভাবে কুকুরের ঘাড়ে সাঁড়াশি আটকে তাদের ধরে ভ্যানে তোলে। আরও অভিযোগ, নির্বীজকরণ যেখানে হয়, সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ফলে ন্যূনতম পরিষেবা না পেয়ে মারা যায় অধিকাংশ কুকুর। এ বিষয়ে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষকে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মণীশ।
তবে এ দিন নিঃশব্দ আন্দোলন করার সময়ে স্থানীয় কয়েক জন যুবকের বাধার মুখে পড়তে হয় আন্দোলনকারীদের। অভিযোগ, তাঁদের ফিরে যেতে বলে যুবকদের ওই দলটি। তবে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে বিক্ষোভ চালাতে থাকেন পশুপ্রেমীরা। মণীশ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি না পাল্টালে এ বার ধর্মতলা-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার হাতে নিঃশব্দ আন্দোলন করব।’’
কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই পশুপ্রেমীদের উদ্দেশ্য নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, পথকুকুরদের নির্বীজকরণে পুরসভার সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করার জন্য একাধিক বার শহরের সব
পশুপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সংস্থাগুলি তাতে কর্ণপাত করেনি। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘কোনও কোনও গোষ্ঠীর স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তাই হয়তো তারা এ সব ভিত্তিহীন দাবি করছে।’’ কলকাতা পুরসভা যে পদ্ধতিতে নির্বীজকরণ করে, তা সারা দেশের মধ্যে সব থেকে ভাল বলেও দাবি করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ, মঙ্গলবার পথকুকুরদের ধরার চারটি নতুন ভ্যান উদ্বোধন করবে পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy