মশা নিধনে প্রচার চলছে রাজ্যে।
কলকাতা পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডকে অতি ডেঙ্গিপ্রবণ বলে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। এর মধ্যে চারটি ওয়ার্ড উত্তর কলকাতায়। বাকিগুলি দক্ষিণ ও কলকাতার সংযোজিত এলাকায়। গত বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের নথি ঘেঁটেই ওই তালিকা বানানো হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। এ বার সেই সব ওয়ার্ড এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় বর্ষার আগেই ডেঙ্গি দমনের অভিযান শুরু করছে পুর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি উল্টোডাঙা এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সেই অভিযান শুরু হচ্ছে। শহরের মোট ৪৭টি রাস্তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই রাস্তায় কোন বাড়িতে কার ডেঙ্গি হয়েছিল, কোন রাস্তার বাসিন্দা মারা গিয়েছিলেন ডেঙ্গিতে, তার তালিকা করা হয়েছে। এখন কেমন আছেন তাঁরা, তা জানতেই বাড়ি বাড়ি ঘুরবে ওই টিম। দেখা হবে সেই সব এলাকার বর্তমান হাল।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই এ বার ওই ওয়ার্ডের ক্যানাল ইস্ট রোড, হরিশ নিয়োগী এবং মুরারিপুকুর রোডকে ‘পাখির চোখ’ করা হয়েছে। পুরসভার এক পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ জানান, এখন জল জমে না থাকলেও জঞ্জাল, আবর্জনার স্তূপ জমে থাকতে পারে। একটু জল পেলেই যেখানে মশার বংশবৃদ্ধি হতে পারে। তা মাথায় রেখেই জঞ্জাল পরিষ্কার থেকে ফাঁকা মাঠ পরিদর্শন, আবর্জনায় মশার ডিম রয়েছে কি না দেখা হবে। অতীনবাবু জানান, পরিদর্শনে থাকবেন পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিল্ডিং সহ একাধিক দফতরের আধিকারিকেরা। কেউ পুর নিয়ম না মানলে পুর আইনের ৪৯৬, ৪৯৬এ ধারায় নোটিস ধরানো হবে। মশাবাহিত রোগ দমনে কেউ সহায়তা না করার শাস্তি হিসেবে দেওয়া হয় ওই নোটিস।
পুরসভা সূত্রের খবর, ১, ৬, ১৪, ৩৬, ৬৯, ৭৪, ৭৯, ৮১, ৮২, ৮৮, ৯৩, ৯৪, ৯৭, ১০৭, ১০৮, ১০৯, ১১৭, ১৩১ এবং ১৩২ ওয়ার্ডগুলি ওই তালিকায় রয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের আগে পর্যন্ত লাগাতার অভিযান চলবে। আহ্বান করা হবে এলাকার কাউন্সিলরদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy