অতিরিক্ত চাহিদার সময় ২ থেকে ৩ গুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে থাকে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি।
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে যথেচ্ছ ‘সার্জ-প্রাইস’ আদায়ের অভিযোগ ওঠায় সংস্থাগুলির কাছে ভাড়ার কাঠামো সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর।
ওই চিঠির উত্তরে সার্জ প্রাইস আদায়ের বিষয়টি আগেই স্বীকার করেছিল একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা। শুক্রবার সরকারের চিঠির জবাবে অন্য একটি সংস্থা জানিয়েছে অতিরিক্ত চাহিদার সময় ২ থেকে ৩ গুণ পর্যন্ত ভাড়া তারা আদায় করে থাকে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, গত ১৫ জুন পাঠানো চিঠিতে মূলত ৪টি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল— অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির ভাড়ার কাঠামো কী? কীসের ভিত্তিতে সার্জ প্রাইস ঠিক হয়? উৎসব-অনুষ্ঠান বা ঝড়-বৃষ্টির সময় গাড়ির চাহিদা এবং ভাড়ার কাঠামো কী ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়? আদায়কৃত ভাড়ার কতটা চালক বা মালিক পান।
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি চিঠি দিয়ে যাত্রীদের থেকে সার্জ-প্রাইস আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও ভাড়ার কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। দফতরের এক কর্তা বলেন,“স্বচ্ছতার স্বার্থে ভাড়া নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি প্রকাশ্যে আনার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সংস্থাগুলি তেমন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। তার বদলে অন্য কর্মকাণ্ডের কথাই বেশি জানিয়েছে।”
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির চিঠি নিয়ে সরকারি স্তরে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার তাঁদের উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে সংস্থার কর্তাদের ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে খবর। সরকারি চিঠির উত্তরে এর আগে, সার্জ প্রাইসের বিষয়টি নির্দিষ্ট ‘অ্যালগরিদম’ মেনে স্থির করা হয় বলে জানিয়েছিল একটি সংস্থা। কোথাও ভাড়া বাড়লে, নির্দিষ্ট সময় পরে চাহিদা এবং জোগানে সমতা এলে ভাড়া আপনা থেকেই কমে আসে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
শুক্রবার যে সংস্থাটি সরকারি চিঠির উত্তর দিয়েছে তাদের দাবি, তারা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সার্জ প্রাইস বাতিল করতেও প্রস্তুত। তবে ভাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাস্তায় গাড়ির জোগান বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। যাত্রীদের স্বার্থে, দ্রুত বাইক-ট্যাক্সি চালুর আর্জি জানিয়েছেন তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy