প্রতীকী ছবি
আপেল নিয়ে ঘুম উড়ে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। আপেলে মোমের আস্তরণ রয়েছে বলে কিছু দিন আগেই পাইকপাড়ার আশুবাবুবাজার কম হইচই হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন খোদ কাউন্সিলর। আপেল নিয়ে যখন যায় যায় রব, তখন খোদ কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বললেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপেল খান নিশ্চিন্তে।”
সোমবার তিনি দাবি করেন, “প্রাকৃতিক উপায়েই আপেলের গায়ে একটি মোমের আস্তরণ পড়ে। আবার বিদেশ থেকে যে আপেল আমদানী করা হয়, তাতেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে ‘ওয়াক্স’ করা থাকে। এই ধরনের আপেল খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না।”
আপেল চকচকে দেখাতে পেট্রোলিয়ামজাত মোমের আস্তরণ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠায়, আশুবাবুর বাজারে অভিযান চালিয়ে আপেল সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করে কলকাতা পুরসভা।
দেখুন ভিডিয়ো:
সোমবার মেয়র পারিষদ বলেন, “বাজেয়াপ্ত হওয়া আপেলগুলিতে এই ধরনের কোনও ক্ষতিকর মোমের অস্তিত্ব মেলেনি। আপনারা নিশ্চিন্তে আপেল খেতে পারেন।”
আরও পড়ুন: ট্যাক্সি ‘না’ করলেই ফোন করা যাবে এই নম্বরে
যদিও পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত এ বিষয়ে একমত নন। তাঁর যুক্তি, “একেবারে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না যে, সব আপেলই খাওয়ার যোগ্য। যে আপেলগুলি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাতে হয়তো বাজারে ব্যবহৃত মোমের আস্তরণ দেওয়া হয়নি। কিন্তু কোথাও যে অসাধু উপায়ে আপেল চকচকে করে বিক্রি হচ্ছে না, অতীনবাবু কী ভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন?
এ বিষয়ে চেস্ট স্পেশালিস্ট দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত বলেন, “আপেলে বাজার চলতি মোমের ব্যবহার হলে শরীরের তার প্রভাব পড়তে পারে। ওষুধ বা চকলেটে যে ধরনের মোম ব্যবহার করা হয়, তা শরীরে গিয়ে বিক্রিয়া করে না। কিন্তু আপেল থেকে সমস্যা হতে পারে।”
আশুবাবু বাজারে পুরসভার অভিযান ছিলেন চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম হালদার, চার নম্বর বরোর ফুড ইনস্পেক্টর আব্দুস সাত্তার মণ্ডল ও প্রদীপ মালিক। মোমের আস্তরণ দেওয়া ৬ পেটি আপেল উদ্ধার করেন তাঁরা। অভিযোগ, আপেলে জেল্লা আনার জন্য প্যারাফিন ব্যবহার করা হয়। এই প্যারাফিন গাড়ি থেকে জুতো বা চামড়া যে কোনও জিনিসে পালিশ করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ সবের পরও আপেল নিরাপদ বলেই সিলমোহর দিলেন অতীনবাবু!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy