Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Hospital

দেড় দিন ফেলে রাখাতেই মৃত্যু, দাবি পরিবারের

ঘাটালের বাসিন্দা সুভাষ বর (৩৮) নামে ওই রোগীর স্ট্রোক হয়েছিল বলে তাঁর পরিবারের দাবি।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০২:০৯
Share: Save:

জরুরি চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঘুরতে হয়েছিল তিন হাসপাতাল। শেষে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলেও রোগীকে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়েছিল। এমনই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁদের এ-ও দাবি ছিল, রোগীকে না-দেখে স্রেফ কাগজপত্রে চোখ বুলিয়েই বলে দেওয়া হয়, ‘‘বাঁচার আশা নেই, সম্ভাবনা ৫০-৫০!’’ বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সেই রোগীরই মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবার অভিযোগ করল, গত সোমবার ভর্তি নেওয়ার পর থেকে সম্ভাবনা ৫০-৫০ বলেই রোগীকে প্রায় দেড় দিন বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল। তাঁদের দাবি, আরও আগে চিকিৎসা শুরু হলে হয়তো রোগী মারা যেতেন না।

ঘাটালের বাসিন্দা সুভাষ বর (৩৮) নামে ওই রোগীর স্ট্রোক হয়েছিল বলে তাঁর পরিবারের দাবি। ঘাটাল হাসপাতাল থেকে গত ২৫ জুলাই তাঁদের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (সিএনএমসি) পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে শয্যা ফাঁকা নেই জানিয়ে রোগীর পরিজনেদের বলা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে যেতে। সেখানেও শয্যা নেই জানিয়ে দেওয়ার পরে একাধিক ছোট বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে শেষে স্বামীকে পার্ক সার্কাসের এক হাসপাতালে ভর্তি করান সুভাষবাবুর স্ত্রী বুল্টি।

বৃহস্পতিবার বুল্টি বলেন, ‘‘ওই হাসপাতালে কয়েক দিনে দেড় লক্ষ টাকা বিল হল। ধার করে টাকা শোধ দিয়েও রোগীর অবস্থার উন্নতি হল না। শেষে আর জি করে গেলেও ঠিক মতো চিকিৎসা পেলেন না আমার স্বামী। দেড় দিন ওই ভাবে ওঁকে ফেলে রাখা হল। জরুরি সময়ে চিকিৎসা পেলে হয়তো উনি মারা যেতেন না।’’

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউই এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি। কোভিড পরিস্থিতিতে নন-কোভিড জরুরি চিকিৎসায় গাফিলতির একের পর এক অভিযোগ ওঠা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘‘বাইরে কিছু বলা যাবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hospital Dead Body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE