অযত্ন: আবর্জনায় প্রায় বুজে গিয়েছে টালিনালা। নিজস্ব চিত্র
সিঁড়ির দু’ধারে স্তূপ হয়ে পড়ে প্লাস্টিক আর আবর্জনা। শ্মশানের সংলগ্ন মজে যাওয়া টালিনালার জলই দেখা যাচ্ছে না। ঘাটে নামতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালেন ঝুমা বন্দোপাধ্যায় নামে বেহালার এক বাসিন্দা।
সিরিটি শ্মশানে প্রয়াত বাবার সৎকারের পরে অস্থি বিসর্জন দিতে গিয়েছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতি দেখে ফিরে যান। টালিনালার কদর্য চেহারা দেখে ঠাকুরপুকুরের তাপস নাগও অস্থি নিয়ে ফিরে গেলেন।
কলকাতা পুরসভার অধীন এই শ্মশানটি। সূত্রের খবর, প্রত্যহ সেখানে গড়ে ১০-১৫টি করে মৃতদেহ সৎকারের জন্য আসে। আগে শ্মশান সংলগ্ন টালিনালায় অস্থি বিসর্জন দেওয়া হত। স্থানীয়দের দাবি, শহরের অন্য শ্মশানগুলির সৌন্দর্যায়ন হলেও সিরিটি শ্মশান সংস্কার কখনও সে ভাবে হয়নি। এক শ্মশানকর্মীর কথায়, ‘‘বাইরের থেকে লোক ঢুকে অসামাজিক কাজ করে। পুলিশকে সে কথা বহু বার জানিয়েও লাভ হয়নি।’’
টালিনালা সংস্কার এবং সিরিটি শ্মশানের সৌন্দর্যায়নের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার। ওই বিভাগের দায়িত্বে মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘টালিনালা সংস্কার শুরু হবে। এ জন্য দরপত্র ডাকার কাজ চলছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, ময়লা জল পরিষ্কার করতে হেস্টিংস থেকে গড়িয়া পর্যন্ত টালিনালার দু’দিকে তিনটি শোধনাগার তৈরি করা হবে। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘এই তিনটি শোধনাগার তৈরি করতে দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। চলতি বছরের মার্চে কাজ শুরু হবে।’’
এর পরেই টালিনালার পলি তোলার কাজ শুরু হবে। পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ওই শ্মশানে তিনটি বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো হবে। বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে গোটা শ্মশান চত্বর ঘিরে দেওয়া হবে। ঘাট-সহ শ্মশানে পরিচ্ছন্ন করার জন্য কর্মীও নিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy