মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে এক অটোচালককে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল সোনারপুরে। গত বুধবার সোনারপুর-গড়িয়া রুটের একটি অটোয় সোনারপুরের মিশনপল্লির বাসিন্দা ওই মহিলা চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন। সেই সময়ে তারক দাস নামে ওই অটোচালক তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। পরদিন সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযাগ করেন ওই মহিলা। সে দিনই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে অভিযোগকারিণী ও তাঁর স্বামী সোনারপুর থানায় আসেন। অভিযোগ, সেই সময়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য অটোচালকদের তরফে তাঁদের চাপ দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ওই অটোচালকের মুক্তির দাবিতে সোনারপুর-গড়িয়া রুটের অটো বন্ধ করে দেওয়া হয়। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অটোচালকেরা। সকাল থেকে অটো বন্ধে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অভিযোগ, যে সব অটোচালক যাত্রী তোলার চেষ্টা করেন, তাঁদের জোর করে চালাতে দেওয়া হয়নি। যাত্রীদেরও অটো থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়। সকাল ৮টা থেকে ৯টা— প্রায় এক ঘণ্টা অটো বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ। পরে সোনারপুরের (উত্তর) বিধায়ক ফিরদৌসি বেগমের হস্তক্ষেপে অটো চলাচল শুরু হয়। বিধায়ক বলেন, ‘‘ওখানে সমস্যা হয়েছিল। নিত্যযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। অটো ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পরে অটো চলাচল শুরু হয়।’’ আইএনটিটিইউসি পরিচালিত অটো ইউনিয়নের সম্পাদক আবু সালাম মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘আমাদের এক চালক ভাই গ্রেফতার হয়েছিল। অধিকাংশ অটোচালক থানায় গিয়েছিলেন। তাই ঘণ্টাখানেক অটো চলেনি।’’
তবে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, রাতে অধিকাংশ সময়েই ওই এলাকায় অটো রুট মেনে চলে না। এমনকি, বেশি ভাড়াও দিতে হয়। আবু সালাম মণ্ডল বলেন, ‘‘কোনও চালক যদি অন্যায় আচরণ করেন, তা হলে আমাদের ইউনিয়নে অভিযোগ করলে কড়া পদক্ষেপ করব।’’ এ দিন বারুইপুর আদালতে ধৃত অটোচালককে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy