প্রতীকী ছবি।
অটোচালকদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থিত অটো ইউনিয়নের নেতৃত্বের একাংশের বিরোধের জেরে রবিবার জগৎপুর-ইকো পার্ক রুটে অটো চলাচল বন্ধ রইল প্রায় ৬ ঘণ্টা। নাকাল হতে হল যাত্রীদের। শেষমেশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
অটোচালক এবং মালিকদের একাংশের অভিযোগ, টাকা-পয়সার হিসেব নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ইউনিয়নের কয়েক জন নেতার বিরোধ চলছিল। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বারাসত কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের সমর্থনে ‘রোড শো’য়ে তাঁরা যোগ দেওয়ায় ইউনিয়নের নেতৃত্বের একাংশের বিরাগভাজন হতে হয় তাঁদের। তার পরেই এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ অটো চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিবু ভাণ্ডারী।
অটোমালিক অরুণ দাসের অভিযোগ, ‘‘ইউনিয়নের সম্পাদক তথা বিধাননগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবু দুপুরে জগৎপুর স্ট্যান্ডে এসে রুট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান চালকেরা।’’ খবর পেয়ে আসে পুলিশ। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অটো ফের চালু হয়।
শিবুর অবশ্য দাবি, তিনি ইউনিয়নের সম্পাদক নন। তবে দলের তরফে ইউনিয়নের কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নতুন চালকদের সঙ্গে পুরনো চালকদের বিরোধ রয়েছে। নতুন চালকদের অভিযোগ, তাঁদের গাড়ি চালাতে দেন না পুরনো চালকেরা। এই নিয়ে এ দিন দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়েছিল। আমি গোলমাল মেটাতে গিয়েছিলাম। পুলিশও ছিল। ওই সময়ে আধ ঘণ্টার মতো অটো বন্ধ ছিল।’’
অটোচালকদের আরও অভিযোগ, পারমিট বার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউনিয়নের কয়েক জন নেতা প্রত্যেক অটোমালিকের থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন। যদিও পারমিটের জন্য প্রয়োজন ১৩ হাজার টাকা। অরুণ বলেন, ‘‘আমরা টাকার হিসেব চেয়েছিলাম। তার পরেই ইউনিয়নের দায়িত্বে বদল এনে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন কয়েক জন নেতা।’’ একই অভিযোগ তুলেছেন অটোচালক লাল্টু সাহা, ভোলানাথ পালও। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘‘ইউনিয়নের কয়েক জন নেতা ভোটে অন্তর্ঘাত করছেন। কাকলি ঘোষদস্তিদারের সমর্থনে আমরা ‘রোড শো’ করায় তাঁরা চটে গিয়েছেন।’’
দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত প্রসঙ্গে শিবুর বক্তব্য, ‘‘আমি তৃণমূলের কাউন্সিলর। ব্যক্তিগত কারণে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’ আর্থিক অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘মাত্র ১৫ দিন হল আমি ইউনিয়নের কাজকর্ম দেখছি। আগে কারা কী করেছে জানি না। তাই এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy