Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Bagri Fire

মেঝেতে হাঁটুজল ফুটছে টগবগ করে, জলের ভারে মেঝে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা বাগড়িতে

বাগড়ির ব্যবসায়ীরা বলেন, “ওই তিন তলায় মূলত চামড়া এবং কৃত্রিম চামড়ার জিনিসপত্র মজুত করা আছে। আগুন লাগার পর সাড়ে তিনদিন কেটে যাওয়ার পরও বাড়ির ওই অংশে পৌঁছতে পারেননি দমকল কর্মীরা। তিন তলার একটা বিস্তীর্ণ অংশ এখনও কার্যত অগম্য।

জল ও আগুনের তাপে ভেঙে পড়ছে বাগড়ি মার্কেটের দেওয়াল। নিজস্ব চিত্র।

জল ও আগুনের তাপে ভেঙে পড়ছে বাগড়ি মার্কেটের দেওয়াল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:১৯
Share: Save:

নিভেও নিভছে না বাগড়ির আগুন। মঙ্গলবার রাতে ফের আগুন ছড়ায় বাড়ির তিনতলায়। প্রথম বা দ্বিতীয় দিনের মতো আগুনের হল্কা এবং শিখা জানলা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে।

হঠাৎ করে আগুন এত বেড়ে যাওয়ায় চমকে যান দমকল কর্মী এবং পুলিশও। মঙ্গলবার তখন রাত সাড়ে দশটা। বাড়ির বিভিন্ন অংশে পকেট ফায়ার নেভানোর কাজ করছিলেন দমকল কর্মীরা। হঠাৎ তাঁরা লক্ষ্য করেন বাড়ির তিনতলা থেকে ফের গাঢ় কালো ধোঁয়া বার হচ্ছে। কালো ধোঁয়া ফের আগুন লেগে যাওয়ার লক্ষণ। দ্রুত সেখানে জল দেওয়া শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু তার মধ্যেই আগুনের শিখা বাইরে থেকে দেখা যায়।

বাগড়ির ব্যবসায়ীরা বলেন, “ওই তিন তলায় মূলত চামড়া এবং কৃত্রিম চামড়ার জিনিসপত্র মজুত করা আছে। আগুন লাগার পর সাড়ে তিনদিন কেটে যাওয়ার পরও বাড়ির ওই অংশে পৌঁছতে পারেননি দমকল কর্মীরা। তিন তলার একটা বিস্তীর্ণ অংশ এখনও কার্যত অগম্য।

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: ৬২ ঘণ্টা পার করে অবশেষে এফআইআর, মালিকেরা বেপাত্তা, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী মহল

এক দিকে ভিতরের আগুনের জন্য গোটা তলা মারাত্মক গরম হয়ে আছে। অন্য দিকে মেঝেতে জমে থাকা জল প্রায় ফুটছে। দমকল বা কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা বার বার চেষ্টা করলেও পা রাখতে পারছেন না প্রচণ্ড উত্তাপের কারণে।

কাজে লাগানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার ল্যাডার। মঙ্গলবার রাতে।

অন্য দিকে, ওই দিন রাতে ফের ছড়িয়ে যাওয়া আগুন শঙ্কিত করে তোলে দমকল কর্মীদের। কারণ প্রথমে সেই আগুন বাগে আনা যাচ্ছিল না। আগুনের সমান্তরাল অবস্থান থেকে যে গতিতে জল দেওয়া প্রয়োজন তা সম্ভব হচ্ছিল না। এর পর রাত একটা নাগাদ নিয়ে আসা হয় কলকাতা পুরসভার একটি ল্যাডার। পুরসভার উদ্যান দফতরের যে মই পুরকর্মীরা ব্যবহার করেন গাছ ছাঁটতে বা উঁচু বাতি স্তম্ভের দেখভাল করতে সেই মইতে চড়ে জল দেওয়া শুরু করেন দমকল কর্মীরা। ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন: ভেঙে পড়তে পারে বাগড়ির দেওয়াল

এরই মধ্যে ক্যানিং স্ট্রিটের দিকে বাগড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে দুটি দোকানের ছাদ ধসে পড়ে। বাড়ির বাইরের কাঠামোর চেয়েও এখন দমকলকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে বাড়ির ভিতরের বিভিন্ন অংশ। এক দমকল আধিকারিক বলেন, “বাড়ির বিভিন্ন তলার মেঝেতে প্রচুর পরিমাণ জল আটকে রয়েছে। এক দিকে আগুনে কংক্রিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য দিকে জমে থাকা জল মেঝের উপর ভার বৃদ্ধি করছে। সেই জলের ভারেই যে কোনও সময় কোনও তলার মেঝে ধসে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা মাথায় রেখেই বুধবার সকাল থেকে তিন তলার আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েছেন দমকল কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE