Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Bagri Market Fire

বাগড়ি মার্কেটের ভবিষ্যৎ কী? ফিরহাদকে ঘিরে বিক্ষোভ

সোমবার দুপুরে সবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ফিরহাদ হাকিম। দাঁড়ানো মাত্রই একের পর এক প্রশ্নে জেরবার হতে দেখা যায় তাঁকে। এক ব্যবস্থায়ী মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “মার্কেটের খুব খারাপ অবস্থা। দেখুন, কী অবস্থা! ভেঙে ফেলা হবে?”

বিক্ষোভের মুখে ফিরহাদ হাকিম।

বিক্ষোভের মুখে ফিরহাদ হাকিম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:২৬
Share: Save:

বাগড়ি মার্কেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ছ’তলা এই বহুতল ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে, নাকি ৭০ বছরের জীর্ণ বাড়িতেই ফের পসরাসাজিয়ে বসবেন ব্যবসায়ীরা? পুজোর মুখে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সব পুড়ে গিয়ে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির পর এখন এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে।পুলিশ, দমকল এমনকি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল।

সোমবার দুপুরে সবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ফিরহাদ হাকিম। দাঁড়ানো মাত্রই একের পর এক প্রশ্নে জেরবার হতে দেখা যায় তাঁকে। এক ব্যবস্থায়ী মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “মার্কেটের খুব খারাপ অবস্থা। দেখুন, কী অবস্থা! ভেঙে ফেলা হবে? তিন দিন ধরে আমরা পথে রয়েছি। কিছু হচ্ছে না। দমকল কেন দেরিতে এল?’’ ওই ব্যবসায়ীকে থামিয়ে আর একজন বলে উঠলেন, “বেআইনি ভাবে এখানে ব্যবসা চলে। অবৈধ মুজত করা হয়। ওদের তো কিছু হয় না!দেশে তো আইন আছে!বলুন? প্রশাসনের দেখা উচিত না!’’

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে, উত্তেজিত ব্যবসায়ীকে শান্ত করানোর চেষ্টা করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “আমি সব জানি। আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তার পর ব্যবস্থা নেব।”এর পরেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মার্কেটে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা আছে কি না, দেখতে হবে। একটা আইন রয়েছে। সেখানে বলা আছে, পুরনো মার্কেটগুলো ভেঙে নতুন করে করা যায়। সে ক্ষেত্রে ভাড়াটেদের পুর্নবাসনও দেওয়া হয়। কিন্তু বড়বাজারের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সাড়়া মেলেনি। তাহলে এবার আমাদের নতুন করে আইন করতে হবে।”

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: পুলিশ-দমকলের ভূমিকা বাগড়ির ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ বাড়াচ্ছে

দমকল, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা গত দু’দিন ধরে লাগাতার কাজ করে চলেছে। তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকেই জানা যাচ্ছে, বাড়ির ভিতরে দেওয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে। প্রচণ্ড উত্তাপে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বহুতলটি। তার উপর যত্রতত্র বৈদ্যুতিক তার কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে।

পুলিশের একাংশের মত, এই বাড়ি ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলা উচিত। না হলে ফের কোনও এক সময় আগুন লাগতে পারে। এমনিতেই বাগড়ি মার্কেটের সামনের রাস্তা খুব একটা বড় নয়।তার পর রাস্তায় যেখানেসেখানে মালপত্র রাখা থাকে। শুধু তাই নয়, রাস্তাতেও কেনাবেচা হয়। ফলে আগুন নেভাতে গিয়ে ফের সমস্যায় পড়তে হবে দমকলকেই। পোস্তা ও বড়বাজার এলাকায় বাগড়ি মার্কেটের মতোই বহু বহুতল এভাবেই বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হঠাৎ করে আগুন লাগলে, দমকল এবং পুলিশ-প্রশাসনের যে কী অবস্থা হতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই অগ্নিকাণ্ড। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও চাইছেন, এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিক।

আরও পড়ুন: জ্বলছে বাগড়ি মার্কেট, তার মধ্যেই ভবানীপুরের বহুতলে আগুন, তীব্র আতঙ্ক

(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE