বাগড়ি মার্কেটের কাঠামো থেকে ভস্মীভূত সামগ্রী ও ধ্বংসাবশেষ।—ফাইল চিত্র
বাগড়ি মার্কেটের কাঠামো থেকে ভস্মীভূত সামগ্রী ও ধ্বংসাবশেষ সরানোর সুপারিশ করেছিলেন আইআইটি বিশেষজ্ঞেরা। চলতি মাসের শুরুতে এই সুপারিশ করা হলেও কলকাতা পুরসভার অন্দরে টানাপড়েনের জেরে এখনও সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার কেন্দ্রীয় পুরভবনে বাগড়ি মার্কেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা।
পুরসভা সূত্রের খবর, বাগড়ি মার্কেটের ভস্মীভূত সামগ্রী ও ধ্বংসাবশেষ সরানো নিয়ে প্রথম থেকেই টালবাহানা চলছিল। কারণ, ওই মার্কেটে একাধিক ওষুধের দোকান থাকায় তার পুড়ে যাওয়া সামগ্রী ধাপায় ফেলা হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না পুরসভা। সেই কারণে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দ্বারস্থ হয় পুর প্রশাসন। বাগড়ির ওই ভস্মীভূত সামগ্রীর নমুনা পরীক্ষা করে পর্ষদ জানিয়েও দিয়েছিল যে, তা থেকে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত সে পোড়া ধ্বংসাবশেষ পুরোপুরি সরানো যায়নি। যদিও এক পদস্থ পুর কর্তার কথায়, ‘‘বর্জ্য অনেকটাই সরানো হয়েছে। বাকিটা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সরানো হয়ে যাবে।’’
পুর আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়াতে ভস্মীভূত সামগ্রী পুরোপুরি ভাবে সরানো যায়নি। তা ছাড়া ওই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এমন কিছু সামগ্রী রয়েছে, যা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। তাই ওই পোড়া বর্জ্যের মধ্যে কোন জিনিসটি ব্যবহারযোগ্য, আর কোনটি নয়, তা ঝাড়াই-বাছাইয়ের দায়িত্ব কার— তা নিয়েও এখন টানাপড়েন চলছে পুর অন্দরে। কোন দফতর এই কাজ করবে, তা নিয়ে সংশয়ের জেরেই ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ।
অথচ মাসের শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত বাগড়ি মার্কেট ঘুরে দেখে আইআইটি বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছিলেন, কাঠামোর উপরে চাপ কমাতে দ্রুত ভস্মীভূত সামগ্রী সরাতে হবে। কারণ, অগ্নিকাণ্ডে বাগড়ি মার্কেটের কাঠামো আগের থেকে দুর্বল হয়েছে। ফলে চাপ না কমালে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সেই দুর্বল অংশ ভেঙে ফেলা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আইআইটি’র তরফে পুরসভার কাছে বাগড়ি মার্কেটের আনুষঙ্গিক তথ্য চাওয়া হয়েছে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘আইআইটি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মতোই সব কাজ করা হবে। কাঠামো সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরা যা-যা করতে বলেছেন, সেটাই অনুসরণ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy