Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বালিগঞ্জ ধর্ষণ মামলায় ফরেন্সিকে যাচ্ছে অডিয়ো রেকর্ডিং

মোবাইল ফোনের অডিয়ো রেকর্ডিংটি কড়েয়া থানার পুলিশের হাতে এসেছে।

অভিযোগকারিণীর বড় জা স্বীকার করেছেন, সেন পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বৌ বিনিময় হয়েছিল। 

অভিযোগকারিণীর বড় জা স্বীকার করেছেন, সেন পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বৌ বিনিময় হয়েছিল। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:০৮
Share: Save:

বালিগঞ্জে ১৪ বছর ধরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় আসা মোবাইল ফোনের একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পুলিশের হাতে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে বলে মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে কয়েক জনের বয়ান নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। দুই পরিবারের বন্ধুবান্ধব, পড়শি ছাড়াও কিছু নিরপেক্ষ লোকের বয়ান নেওয়া হয়েছে বলে লালবাজারের খবর।

মোবাইল ফোনের অডিয়ো রেকর্ডিংটি কড়েয়া থানার পুলিশের হাতে এসেছে। সেটি ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বরের। সেটি পাওয়া গিয়েছে অভিযোগকারিণী গৃহবধূর বোনের মোবাইল থেকে। তদন্তকারী অফিসার জানান, রেকর্ডিংটিতে আছে ওই গৃহবধূ, তাঁর বোন এবং বড় জায়ের বার্তালাপ। সোমবার আদালতে তদন্তকারী অফিসারের দাবি ছিল, ওই বার্তালাপে অভিযোগকারিণীর বড় জা স্বীকার করেছেন, সেন পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বৌ বিনিময় হয়েছিল।

লালবাজারের এক কর্তা অবশ্য এ দিন জানান, ওই রেকর্ডিংয়ে সরাসরি এই ধরনের কোনও স্বীকারোক্তি মেলেনি। সেখানে খাপছাড়া ভাবে নানা বিষয় এসেছে, এমনকি ঝগড়াও হয়েছে। তাই কোন পরিপ্রেক্ষিতে ওই ‘কল’, তা ভাল করে অনুসন্ধান করা দরকার। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট তিন জনের ‘ভয়েস স্যাম্পেল’ বা কণ্ঠস্বরের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে, অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে সেগুলো মিলছে কি না।

বালিগঞ্জ পার্কের এক সেন পরিবারের ওই বধূ গত ৩ জানুয়ারি কড়েয়া থানায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বিকৃত যৌন লালসা এবং ভাশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগে ওই মহিলা জানান, ভাশুর তাঁকে ধর্ষণ করার পরে বিষয়টি তিনি স্বামীকে জানান। কিন্তু স্বামী তাঁকে জানান, বিষয়টি কাউকে বলতে বারণ করেন। স্বামী তাঁকে বলেছিলেন, এটি পরিবারের প্রথা। তাঁর স্বামীর সঙ্গে বড় জায়েরও যে শারীরিক সম্পর্ক আছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় অভিযোগকারিণীর কাছে। শ্বশুরবা়ড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে তাঁর উপরে অত্যাচারের অভিযোগও আনেন ওই বধূ। থানায় অভিযোগ জানানোর রাতেই গ্রেফতার হন ওই মহিলার স্বামী সুরঞ্জন সেন ও ভাশুর নীলাঞ্জন সেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE